বৃহস্পতিবার ● ২৯ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » সম্প্রচার ব্যবস্থা ডিজিটাল করতে টাস্কফোর্স গঠন করা হবেঃ তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচার ব্যবস্থা ডিজিটাল করতে টাস্কফোর্স গঠন করা হবেঃ তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, টেলিভিশন চ্যানেলের স্বার্থ সুরক্ষায় সম্প্রচার ব্যবস্থা ডিজিটাল করতে প্রয়োজনে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। বুধবার সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তথ্যমন্ত্রী একথা জানান।খবর জনকণ্ঠের।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী ফ্রি-টু-এয়ার বাদে বিদেশী চ্যানেলগুলো যাতে পুরোপুরি ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন ছাড়া শুধু অনুষ্ঠান) আমাদের দেশে পাঠায়, পুরোপুরি ক্লিন ফিড আমাদের দেশে দেখানো হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স (এ্যাটকো) নেতারা এ প্রসঙ্গের অবতারণা করেন। এটি করতে সময় লাগবে। এজন্য ডিজিটালাইজেশনের একটি বিষয় আছে। খুব বেশি সময় আমরা দিতে চাই না। আইন সবাইকে মানতে হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রচারের ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন খুব শীঘ্রই করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা একটি টাস্কফোর্স গঠন করব। পুরো দেশে যাতে সম্প্রচার মাধ্যমটি ডিজিটালাইজড হয়। তাহলে এখন যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই শৃঙ্খলা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা হবে। এতে দেশের গণমাধ্যমের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে।
গণমাধ্যমকর্মী আইন হলে এর আলোকে টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য নতুন নীতিমালা করার সুযোগ তৈরি হবে। এমনকি সাংবাদিকদের হঠাৎ করে ছাঁটাই, পাওনা পরিশোধ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুরহা হবে বলে জানিয়েছেন হাছান মাহমুদ। গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়নের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ শ্রম আইনের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মী আইনের কিছু বিষয় আছে, যেগুলো সমাধান করা প্রয়োজন। সেটি শীঘ্রই হবে। হলে আমরা সেটি নিয়ে আবার মন্ত্রিসভায় যেতে পারব। মন্ত্রিসভা হয়ে পার্লামেন্টে যাবে। আমরা চেষ্টা করব শীঘ্রই নিয়ে যাওয়ার জন্য। গণমাধ্যম আইন করা সহজ নয়। যেহেতু এগুলো স্পর্শকাতর অনেক কিছু বিবেচনা করে দেখে শুনে করতে হয়। সেজন্যই সময় লাগছে। এটি এককভাবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়ও নয়। নানা মন্ত্রণালয় এটির সঙ্গে যুক্ত। সে কারণেই সময় লাগছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা সরকার করেছে। সম্প্রচার আইনও আমরা খুব শীঘ্রই পার্লামেন্টে নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি। সম্প্রচার আইন হলে সম্প্রচার কমিশনও হবে। আমরা গণমাধ্যমকর্মী আইন ও সম্প্রচার আইন যদি পাস করাতে পারি- তাহলে এ দুটি আইনের আলোকে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
দেশে এখন ৩৩ চ্যানেল আছে, আরও ছয়টি খুব শীঘ্রই অনএয়ারে আসবে। সেখানে কয়েক হাজার গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন। সম্প্রচার গণমাধ্যমের বিকাশটা পুরোটাই শেখ হাসিনার হাত ধরে হয়েছে। ইতোমধ্যে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অনেক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, চ্যানেল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এটকোর দেয়া ক্রম মানা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, ভবিষ্যতেও নেব। মোবাইল কোর্ট যে আমরা পরিচালনা করেছি, সেখানেই শেষ নয়, ভবিষ্যতেও পরিচালনা করা হবে। ঘোষণা দিয়ে করা হবে না, যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশী যে বিজ্ঞাপন বিদেশে চলে যাচ্ছিল তা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। হয়তো আপনারা বলবেন একটি দুটি কোম্পানি এখনও প্রদর্শন করছে। তবে সেই কোম্পানিগুলো সেই দেশে রেজিস্টার্ড, সেজন্য তারা সেটি করতে পারছে।
এ সময় তথ্য সচিব মোঃ আবদুল মালেক, বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।