মঙ্গলবার ● ২৩ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ব্যাংকগুলোকে সম্পূর্ণ অটোমেশনে যেতেই হবে
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ব্যাংকগুলোকে সম্পূর্ণ অটোমেশনে যেতেই হবে
সরকারি-বেসরকিারি সব ব্যাংককে শতভাগ অটোমেশন সম্পন্ন করতে তাগাদা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেছেন, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ব্যাংকগুলোকে সম্পূর্ণ অটোমেশনে যেতেই হবে। নিজেদের স্বার্থেই এটা করতে হবে। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকেই এই কাজটি করতে হবে।
সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘রেগুলেটরি রিপোর্টিং রিকয়ারমেন্টস ফর ব্যাংকস” শীর্ষক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম মিলানায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
মনিরুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকে যে ড্যাশ বোর্ড বসানো হয়েছে সেখানে সকল ব্যাংকের সকল ধরণের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। শতভাগ ব্যাংক এখনো অটোমেশন না করার কারণে এমনটা হচ্ছে।
“ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদানসহ যে সকল কার্য়ক্রম পরিচালনা করছে সে সব তথ্য সাথে সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ড্যাশবোর্ডে পাঠিয়ে দিলে তাতে কোনও ধরণের অনিয়ম দেখা গেলে আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে পারি।
‘বিষয়টি খুবই গুরুক্বপূর্ণ এবং জরুরী’ বিবেচনা করে অটোমেশন সম্পন্ন করে ‘যে সময়ের তথ্য সে সময়েই’ হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন মনিরুজ্জামান।
ডেপুটি গভর্নর বলেন, অটোমেশন হচ্ছে ব্যাংকের একটি অত্যাবশ্যকীয় পালনীয় বিষয়। এর থেকে সুফল পেতে হলে বাংলাদেশে ব্যাংকে সময় মতো রিপোর্ট করতে হবে। এটা শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুঝলেই হবে ন। ব্যাংকগুলোকেও এটা বুঝতে হবে।
এসময় তিনি হলমার্ক কেলেংকারির বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “ওই সময় যদি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শতভাগ অটোমেশন হতো এবং বিষয়টি রিপোর্ট করতো তাহালে ড্যাশ বোর্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক সাথে সাথে বিষয়টি জানতো এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারতো।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখলেসুর রহমান বলেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা মনে করছেন অটোমেশন ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই তারা এটাকে এতো দীর্ঘায়িত করছেন।
“কিন্তু আমি বলবো অটোমেশনকে খরচ না ভেবে বিনিয়োগ ভাবতে হবে। কারণ স্বয়ংক্রিয় না হওয়ার ফলে এখন অনেক বাজে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। তখন এটা রোধ করা সম্ভব হবে।এমডিদের মাইন্ড সেট-আপ বদলাতে হবে, ব্যবস্থাপনার তথ্য প্রক্রিয়া (এমআইএস) ঠিক করতে হবে। তারপর সফলতা পাওয়া যাবে।”
সেমিনারে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম’র অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবিব।
তাতে তিনি দেশের ব্যংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নে কয়েক সুপারিশ তুলে ধরেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেশের ব্যবসারত সকল ব্যাংককে পালনীয় বিষয়গুলো মানতে বাধ্য করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্য়বেক্ষণ আরও প্রসার ও কঠোর হতে হবে।
ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব তথ্য প্রয়োজন তা সঠিক পন্থায় গ্রহণ করে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও জনাতে বাধ্য করতে হবে।