বৃহস্পতিবার ● ১১ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » বিটিআরসি ভ্যাট নিবন্ধন না করায় জটিলতা: অ্যামটব
বিটিআরসি ভ্যাট নিবন্ধন না করায় জটিলতা: অ্যামটব
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অর্থ গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছে অ্যামটব।
মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠনটির দাবি, বিটিআরসি এখন পর্যন্ত মূসক বা ভ্যাট নিবন্ধন না করায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
অ্যামটব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বুধবার তারা গত প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন ২০১৯) বিভিন্ন পাওনা যেমন রাজস্বের অংশ, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ও বাৎসরিক তরঙ্গ ফি জমা দিয়ে গিয়েছিলেন। তবে ভ্যাটের অংশ বাদ দিয়ে জমা দিতে চাওয়ায় তা নেয়নি বিটিআরসি।
কিন্তু বিটিআরসি অর্থ আদায়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভ্যাট নিবন্ধন নেয়নি বলে অপারেটরগুলো ভ্যাট দিতে পারেনি বলে দাবি করেন অ্যামটবের মহাসচিব এস এম ফরহাদ।
তিনি বলেন, গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর বর্তমান মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন অনুযায়ী অর্থ আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের মূসক নিবন্ধন থাকার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আছে।
আইনের ৪৯ (২) ধারার কথা উল্লেখ করেন তিনি, যেখানে বলা হয়েছে, “সরবরাহকারী নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত না হইলে এবং সমন্বিত কর চালানপত্র এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র জারি না করিলে, উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা সরবরাহকারীর নিকট হইতে কোনো সরবরাহ গ্রহণ করিবে না এবং সরবরাহকারীকে উক্ত সরবরাহের বিপরীতে কোনো মূল্য পরিশোধ করিবে না।”
ফরহাদ বলেন, “টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এখন পর্যন্ত মূসক বা ভ্যাট নিবন্ধন না করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
“তবে দেশের ১৬ কোটিরও বেশি মোবাইল গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে মোবাইল অপারেটরা তাদের গত প্রান্তিকের অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়, যা বিটিআরসি গ্রহণে অসম্মতি জানায়।”
অ্যামটব এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিটিআরসির কাছে ভ্যাট আইন অনুযায়ী কীভাবে অর্থ পরিশোধ করা যাবে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে এখনও কোনো জবাব পায়নি বলে জানান মহাসচিব।