মঙ্গলবার ● ৯ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » বিটিসিএল’র এডিএসএল-জিপন ইন্টারনেট অর্ধেক মূল্যে
বিটিসিএল’র এডিএসএল-জিপন ইন্টারনেট অর্ধেক মূল্যে
বিটিসিএলের এডিএসএল এবং জিপন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম অর্ধেকেরও বেশি কমানো হয়েছে। বিটিসিএল ল্যান্ডফোনে এডিএসএল ও জিপন ব্যবহারকারীরা আগামী ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) থেকে এই সুবিধা পাবেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে ঢাকায় বিটিসিএল কার্যালয়ে এক বৈঠকে রোববার (০৭ জুলাই) এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল মাহমুদসহ সংস্থার কর্মকতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এডিএসএল এবং জিপন ব্যান্ডউইথের পুনর্নির্ধারিত মূল্য
এডিএসএল: ১ এমবিপিএস এডিএসএল ব্যান্ডউইডথ মূল্য ৫০০ টাকা+ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ২৫০ টাকা করা হয়েছে। ১ দশমিক ৫ এমবিপিএস এডিএসএল ব্যান্ডউইডথ ৭০০ টাকা+ভ্যাট থেকে কমিয়ে করে ভ্যাটসহ ৩৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়।
জিপন: ২ এমবিপিএস জিপন ব্যান্ডউইডথ মূল্য ৭৫০ টাকা+ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ৩৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ মূল্য ১১০০ টাকা+ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ৫ এমবিপিএস এর দাম ভ্যাটসহ ৫০০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ এমবিপিএস এর দাম ২০০০ টাকা+ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ৭৫০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ভ্যাটসহ ১২০০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এডিএসএল এবং জিপন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সার্ভিসকে আরও জনপ্রিয় করতে এর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বৈঠকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের মূল্যহ্রাস বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ যাতে সাশ্রয়ী খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এর আগে ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১৮ হাজার টাকায় নির্ধারণ করা হয়। পরে ২০১১ সালের এপ্রিলে ১২ হাজার টাকা, ২০১২ সালের এপ্রিলে ৮ হাজার টাকা, ২০১৪ সালের এপ্রিল ২ হাজার ৮০০ টাকা এবং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৯৬০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৩৬০ টাকায় কমিয়ে আনা হয়।
সবশেষ গত ২৭ জুন এক এমবিপিএএস ব্যান্ডউইডথের সর্বনিম্ন চার্জ ৩৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৮ সালেও দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে তা ১১০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী বিটিসিএল’র সম্পদ, নেটওয়ার্ক এবং বিদ্যমান মানবসম্পদ যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সেরা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য লাগসই কর্মপরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।