সোমবার ● ১৭ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » ৩০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে হুয়াওয়ে
৩০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা তার কোম্পানিকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে তাদের বার্ষিক আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার কম হতে পারে।
২০১৭ সালের তুলনায় গতবছর কোম্পানিটির বার্ষিক আয় ১৯.৫ শতাংশ বেড়েছিল। ২০১৮ সালে হুয়াওয়ের আয় হয় ৭২১.২ বিলিয়ন ইউয়ান (১০৪.১৬ বিলিয়ন ডলার)। হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেন ঝেংফাইয়ের মতে, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে কোম্পানিটির বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসতে পারে। তবে ২০২১ সালের মধ্যে কোম্পানিটি আবার ঘুরে দাড়াতে পারবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় চীনের শেনঝেনে হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত এক লাইভ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তারা হলেন- এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক নিকোলাস নিগ্রোপন্থে এবং লেখক ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট জর্জ গিলডার।
লাইভ অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা জানান যে, ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে থাকা সত্ত্বেও গবেষণা এবং উন্নয়ন খাতে ব্যয় কমাবে না হুয়াওয়ে। অনুষ্ঠানে রেন ঝেংফেই হুয়াওয়ের বিষয়ে বিভিন্ন ভুল ধারণার বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং বিশ্ববাসীর কাছে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।
বিশ্বের বৃহৎ টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নির্মাতা ও দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি উন্নয়নে এরই মধ্যে অদম্য হয়ে উঠেছে কোম্পানিটি। তবে এর ব্যবসায় সাম্রাজ্য বিস্তারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ এনে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ। ফলে নিজেদের পণ্য উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার কিংবা সেমিকন্ডাক্টর পণ্য কিনতে পারবে না হুয়াওয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘কালো তালিকাভুক্তির’ প্রভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছে কোম্পানিটি।