বৃহস্পতিবার ● ১৩ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি বিধিমালা চূড়ান্ত
ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি বিধিমালা চূড়ান্ত
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারায় সংশোধনের প্রস্তাব থাকলেও তা নিয়ে এখনই ভাবছে না তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। বরং সাইবার বা ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন কার্যকরে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি বিধিমালা-২০১৯’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিধিমালাটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন,‘ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংশোধনের কিছু প্রস্তাব থাকলেও এই মুহূর্তে আইনটি যথাযথ প্রয়োগের জন্য বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আইসিটি অনুবিভাগ) ও ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন,‘বিধিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি বিদ্যমান আইনে করা হয়েছে। আইনের কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে এজেন্সি পরিচালনায় বিধিমালাটি করা হচ্ছে। সাইবার সিকিউরিটির জন্য প্রয়োজনে আরও বিধিমালা করার সুযোগ রয়েছে আইনে।’
আইনের অপপ্রয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে কিনা জানতে চাইলে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন,‘কাউকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আইন করা হয়নি। জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই আইনটি করা হয়েছে। আইনের কার্যকর ও যথাযথ প্রয়োগে বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
খসড়া বিধিমালায় ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির কাজ কী হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।এজেন্সি কার্যক্রম সম্পাদনায় কার্যনির্বাহী পরিষদের বিধান রাখা হয়েছে। জাতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ও কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের কাজ কী হবে তা বলা হয়েছে এই বিধিমালায়। খসড়ায় আন্তর্জাতিকমানের ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন ও পরিচালনার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এজেন্সি পরিচালনায় নিজস্ব তহবিল গঠন করার কথাও বলা হয়েছে খসড়ায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য
দেশে ডিজিটাল ডিভাইস ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ দমন সংক্রান্ত কার্যক্রমের সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ করা।
গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটাপন্ন তথ্য পরিকাঠামো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তা পরিদর্শন করা এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া। তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক হুমকি মোকাবিলা এবং এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্মকৌশল ঠিক করা ও নীতিগত সিদ্ধান্ত দেওয়া। জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত সংস্থার কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম (CIRT), ফরেনসিক ল্যাব গঠনের নির্দেশনা ও অনুমোদন দেওয়া।
ডিজিটাল নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ ও নির্দেশনা দেওয়া।
সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি সরকারের সঙ্গে অনুমোদন নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান ও সহযোগিতা দেওয়া।
তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করা।
সাইবার বা নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা। এজেন্সির কাজ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনে, সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশি ও বিদেশি যেকোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা।
জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা আয়োজন ও সাচিবিক সহায়তা করা।
সরকার নির্দেশিত সাইবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত অন্যান্য কাজ করা।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন