সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
সোমবার ● ২০ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি জার্নাল » মানুষের কাজ করে দেবে রোবট সফটওয়্যার
প্রথম পাতা » আইসিটি জার্নাল » মানুষের কাজ করে দেবে রোবট সফটওয়্যার
৯৮১ বার পঠিত
সোমবার ● ২০ মে ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মানুষের কাজ করে দেবে রোবট সফটওয়্যার

---
রোবট এসে মানুষের কাজগুলো করতে শুরু করবে। ফলে অনেক মানুষ তাদের কাজ হারাতে পারে-এটি অনেকেই আশঙ্কা করে থাকেন। এটি আংশিক সত্য। রোবট ব্যবহার করে হয়তো কিছু কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব, যেগুলো আগে মানুষকে করতে হতো। কিন্তু একই সঙ্গে আরও বড় কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বর্তমান সময়ে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই কোনো না কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করে। যদিও কম্পিউটার সফটওয়্যার একটি বড় ভূমিকা পালন করে তথ্য সংরক্ষণ করার মাধ্যম হিসেবে। বিপুলসংখ্যক মানুষ যুক্ত থাকে এই সব সফটওয়্যার চালনার জন্য।

ব্যাংক, বিমার মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের একটি অংশ থাকে নতুন হিসাবসংক্রান্ত (অ্যাকাউন্ট) তথ্য এবং নিয়মিত লেনদেনের তথ্য যাচাই করা। যাচাই করার পদ্ধতিগুলো আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে এবং নির্দিষ্ট ক্রম অনুসরণ করে সেগুলো সম্পন্ন করতে হয়। যেহেতু এক বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বিতভাবে এই কাজগুলো করে থাকেন, তাই অনিচ্ছাকৃত কোনো ত্রুটি হবে না এমন বলা যায় না। তবে এই কাজগুলো যদি রোবট দিয়ে করিয়ে নেওয়া যেত, তবে হয়তো কম সময়ে আরও বেশি কাজ করা সহজ হতো। আর সাধারণ ত্রুটিগুলোও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হতো।

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইনফোস্যাপেক্স সম্প্রতি রোবোটুমেশন নামের একটি সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান চালু করেছে। রোবট সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার (রোবোটিক প্রসেস অটোমেশন) মাধ্যমে একইনকম এবং নিয়মিত করতে হয় এমন কাজগুলো নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করছে এই সমাধান। এটি এমন কিছু নয় যে অন্য অটোমেশন সফটওয়্যারগুলোর সঙ্গে আরও একটি নতুন সফটওয়্যার। বরং বর্তমানে যে সফটওয়্যারগুলো রয়েছে, সেগুলো একজন মানুষ যেভাবে ব্যবহার করে, সেই কাজগুলোই সম্পন্ন করে দিচ্ছে এই সফটওয়্যার রোবটগুলো।

ধরা যাক ব্যাংকে কোনো নতুন একটি ক্রেডিট কার্ড হিসাব তৈরি করা হবে। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীর একটি ফরম পূরণ করতে হবে প্রথমে। সেই ফরমটি এবং অন্য বিষয়গুলো ব্যাংকের কর্মকর্তা যাচাই করার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। মূল বা কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য পূরণ করে হিসাব নম্বর তৈরির আগে যাচাই করতে হয় আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ অন্যান্য বেশ কিছু তথ্য। কার্ডের সফরওয়্যারে তথ্য যোগ করে কার্ডের হিসাব তৈরি হয়। আবার আগে থাকা কোনো হিসাবের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে হলে সেই কাজটিও করেন অপর এক কর্মকর্তা। কার্ড ছাপানোর কাজের জন্যও নিয়োজিত থাকেন অন্য কেউ। এসব কাজ পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করতে হয় এবং তারপরই কেবল আবেদনকারী ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করতে পারেন।

ইনফোস্যাপেক্সের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরুল হাসান বলছিলেন যে আবেদনকারীর কাছ থেকে ফর্মটি গ্রহণ করে যদি একটি স্ক্যান কপি রোবো-টু অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করে দেওয়া হয়, তবে এর পরবর্তী ধাপগুলোর সব কাজই সম্পন্ন করে দিয়ে পারবে এই সফটওয়্যার। স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক সফটওয়্যার থেকে অন্য সফটওয়্যারের তথ্য আদান-প্রদান নয়, বরং মানুষের মতোই ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড লিখে লগ-ইন করে তথ্য অনুসন্ধান করা এবং ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরের ধাপের কাজ সম্পন্ন করবে এই অ্যাপ্লিকেশন।

কাজগুলো সব ক্ষেত্রেই যে স্বয়ংক্রিভাবে সম্পন্ন হয়ে যাবে এমন নয়, প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো ধাপেই মানুষের অনুমোদনের বা হয়তো পাসওয়ার্ডটির জন্য অপেক্ষা করতে পারবে এই রোবট। তবে পূর্ণাঙ্গ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যায়ক্রমে কাজ সম্পন্ন করতে পারে, এবং যেকোনো সময়েই কাজগুলো যাচাই করার সুযোগ রয়েছে-বলছিলেন প্রতিষ্ঠানের হেড অব বিজনেস অপারেশন, মো. শওকত হোসেন চৌধুরী।
কম্পিউটার ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত করতে হয় একই ধরনের প্রায় সব ধরনের কাজ করা সম্ভব এই রোবো২ ব্যবহার করে। আগে থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হলে নির্দিষ্ট সময়মতো কাজগুলো করা শুরু করে দিতে পারে এটি। মানুষের কাজগুলো করে দিচ্ছে বলে আগের তুলনায় অনেক কম সংখ্যক কর্মীর মাধ্যমে সম্পূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করা যাবে।

এই সফটওয়্যার রোবটটি ব্যবহার করতে হলে একটি বার্ষিক লাইসেন্স কিনতে হবে এবং কাজের ধাপগুলো নির্ধারণ করতে হবে। খরচের ব্যাপারে কথা হচ্ছিল মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে, যিনি ইনফোসাপেক্সের হেড অব সেলস হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলছিলেন যে কাজের ধরন অনুযায়ী লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে যে কাজগুলো বিভিন্ন কর্মী মিলে সম্পন্ন করছেন, তাঁদের জন্য বার্ষিক খরচের তুলনায় লাইসেন্স ফি কয়েক গুণ কম হবে।
কাজের ধরন অনুযায়ী আলাদা সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে। মানুষের কাজের একটি অংশ যদি রোবটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়, তবে মানুষ নতুন আরও সৃজনশীল কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে এমন নতুন নতুন রোবট তৈরি করা আরও একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হতে পারে।



২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি
দেশের বাজারে লেক্সারের জেন৫ এসএসডি
বাজারে এলো স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেটের রিয়েলমি জিটি ৭ প্রো স্মার্টফোন
সর্বাধিক বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় শাওমি রেডমি ১৩সি
নাসার গ্লোবাল ফাইনালিস্টের তালিকায় বাংলাদেশের ‘টিম ইকোরেঞ্জার্স’
দেশের বাজারে ভেনশন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ডিসপ্লে যুক্ত পাওয়ার ব্যাংক ও ইয়ার বাডস
টিকটক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ এর ভোটিং শুরু
টেক্সটেক আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪ এ ট্যালি প্রাইম ৫.০
ভিসাকার্ড পেমেন্টে ফুডপ্যান্ডায় ছাড়
বাংলালিংকের মাইবিএল অ্যাপে রয়্যাল এনফিল্ড বাইক জেতার সুযোগ