বৃহস্পতিবার ● ৭ জুন ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের নতুন সফটওয়্যার চালু হচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের নতুন সফটওয়্যার চালু হচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১০ জুন ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের নতুন সফটওয়্যার ‘এমএসএ প্লাস’ চালু করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুবিধার্থেই নতুন এই প্রযুক্তি সংযোজন বলছেন ডিএসই কর্মকর্তারা ।
গতকাল বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই দাবি করেছে, নতুন সফটওয়্যারটি চালু হলে তা শেয়ারবাজারের লেনদেনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোশাররফ এম হোসেইন, প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা (সিটিও) এ এস এম খায়েরুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) জহুরুল আলম ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) শুভ্রকান্তি চৌধুরী।
কিন্তু বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগেরই নতুন এই সফটওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে স্বচ্ছ কোনো ধারণা নেই। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের ধারণা দেওয়ার বা জানানোর তেমন কোনো উদ্যোগও নেয়নি ডিএসই। এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসইর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
যথাযথ প্রচারণার অভাবে ইন্টারনেটভিত্তিক নতুন এই লেনদেন পদ্ধতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, এটি নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো কারণ নেই। লেনদেনের ক্ষেত্রে বর্তমানে যেসব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে, সেগুলোর পাশাপাশি কোনো বিনিয়োগকারী ইচ্ছা করলে ইন্টারনেটভিত্তিক নতুন সফটওয়্যারে লেনদেনের সুবিধা নিতে পারবেন। এই সফটওয়্যার ব্যবহারকারীরা নিজ নিজ ব্রোকারেজ হাউস থেকে তাঁর নামে একটি আইডি ও গোপন পিন নম্বর পাবেন। ওই আইডি ও পিন নম্বর ব্যবহার করে ঘরে বসে বিনিয়োগকারীরা ইন্টারনেটে কেনাবেচার আদেশ দিতে পারবেন।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের ওই আদেশ গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের সার্ভারে জমা হবে। এরপরই ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদিত প্রতিনিধির মাধ্যমে গ্রাহকের সেসব আদেশ পরিপালন করা হবে।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় অনানুষ্ঠানিক পন্থায় বিনিয়োগকারীরা ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তাদের কাছে শেয়ার কেনাবেচার আদেশ দিয়ে থাকেন। তারই কিছুটা আধুনিক ব্যবস্থা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই কাজটি করার সুযোগ তৈরি করেছে ডিএসই। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সফটওয়্যারটিতে আধুনিক কিছু ব্যবস্থা সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: কোনো বিনিয়োগকারীর বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসেবে বিক্রয়যোগ্য শেয়ার না থাকলে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বিক্রির কোনো আদেশ সফটওয়্যারে গৃহীত হবে না। একইভাবে শেয়ার কেনার আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে কোনো ক্রয় আদেশ গৃহীত হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর প্রধান নির্বাহী বলেন, এমএসএ প্লাস সফটওয়্যার চালু হলে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই নিজেদের লেনদেনের নিয়ন্ত্রক হতে পারবেন। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে বিনিয়োগকারীরা নির্ধারিত সময়ে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত) শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ২৩টি ব্রোকারেজ হাউস তাদের বিনিয়োগকারীদের এই সফটওয়্যার ব্যবহারের আওতায় এনেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যরাও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।