বুধবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » অনলাইনে উগ্র মন্তব্যও সহিংসতার কারণ হতে পারে - স্টেট ইউনিভার্সিটির সেমিনারে বক্তারা
অনলাইনে উগ্র মন্তব্যও সহিংসতার কারণ হতে পারে - স্টেট ইউনিভার্সিটির সেমিনারে বক্তারা
অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার একটি মন্তব্যও সমাজে অশান্তি সৃষ্টির কারণ হতে পারে। মন্তব্যের ধরন উগ্রবাদী হলে, কোনো ব্যক্তি, ধর্ম, জাতি ও গোষ্ঠীর প্রতি আক্রমণাত্মক হলে তা সহিংসতা ডেকে আনে। ইতোপূর্বে ব্রাাহ্মণবাড়য়িার নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামু ও রংপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘটা ভয়াবহ সহিংসতা তারই অংশ। তাই প্রযুক্তির পরিমার্জিত ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আলোচকরা।
সোমবার রাজধানীর কলাবাগানে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মিলনায়তনে ‘সাইবার অপরাধ ও সহিংস উগ্রবাদ সচেতনতা’ বিষয়ক এক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই সেমিনার হয়। এতে পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রোভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবির, বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সাহস মোস্তাফিজ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার আইরিন বাশার রিফাত, সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ, সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষক ও গবেষক মেহেদী হাসান, ও প্রকৌশলী সামিরুল হক প্রমুখ।
আনোয়ারুল কবির বলেন, প্রযুক্তির পরিমার্জিত ব্যবহার করতে হবে। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়মিত আয়োজন করা গুরুত্বপূর্ণ।
বক্তারা বলেন, অনলাইনে কোনো বিষয়ে মন্তব্য করতেও দায়িত্বের পরিচয় দিতে হবে। আচরণ যেন সহনশীল হয় এবং উগ্রতা প্রকাশ না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী সেমিনারে অংশ নেন।