বুধবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » জিপি অ্যাকসেলেরেটরের দ্বিতীয় ব্যাচের যাত্রা শুরু
জিপি অ্যাকসেলেরেটরের দ্বিতীয় ব্যাচের যাত্রা শুরু
গত ৬ সেপ্টেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে জিপি অ্যাকসেলেরেটরের দ্বিতীয় ব্যাচ গ্রামীণফোন কার্যালয়ে তার যাত্রা শুরু করেছে। এসডি এশিয়ার সহযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা স্থানীয় প্রযুক্তি স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করতে কাজ করছে জিপি অ্যাকসেলেরেটর। চার মাসের এই কর্মসূচিতে এসব উদ্যোক্তাদের অত্যন্ত কার্যকরী ও ফলপ্রসু প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ব্যবসা শুরু করার জন্য আপগুলোকে ১১ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়ার পাশাপাশি, স্টার্টআপগুলো জিপি হাউজের ভেতরে কাজ করার সুযোগ পায়। জিপি অ্যাকসেলেরেটর স্টার্টআপগুলোর ব্যবসা বিস্তৃতির জন্য এ শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যোগাযোগের সুযোগ করে দেয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এবং এদেশের তরুণদের প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করে। সরকার তরুণ প্রজন্মকে সহায়তা দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং গ্রামীণফোনের মত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ভালো লাগছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, “গ্রামীণফোনের মত প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখে, এই জ্ঞান জিপি একসেলারেটর এর তরুণ উদ্যোক্তাদের গ্রাহক বান্ধব সেবা তৈরিতে খুবই সহায়ক হবে।”
নতুন ব্যাচকে স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি বলেন, জিপি অ্যাকসেলেরেটরের এ স্টার্টআপগুলো আমাদের প্রতিদিনই মনে করিয়ে দেয় গতি, তৎপরতা ও সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মনোনিবেশ করার দক্ষতাই আসলে সফলতার দিকে নিয়ে যায়। গ্রামীণফোন বাংলাদেশ সরকার এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে সাথে নিয়ে বিশ্বের স্টার্টআপ মানচিত্রে বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
গ্রামীণফোনের হেড অফ ট্র্যান্সফরমেশন কাজী মাহবুব হাসান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ তৈরির মিশনে নেমেছি আমরা। সব সহযোগীদের সাথে কাজ করার মাধ্যমেই জিপি অ্যাকসেলেরেটর এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় ব্যাচের শীর্ষ পাঁচ স্টার্টআপগুলোকে জিপি অ্যাকসেলেরটের এ পর্যায়ে পৌঁছাতে হয়েছে। ৫শ’টিরও বেশি আবেদনপত্র থেকে শীর্ষ পাঁচ নির্বাচন করা নির্বাচকদের জন্যও অনেক কঠিন ছিলো।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসডি এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজুর আর খান, গ্রামীণফোন ও এসডি এশিয়ার জেষ্ঠ্য সদস্যগণ, বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং বিনিয়োগকারীরা।
শীর্ষ পাঁচ স্টার্টআপঃ
ক্র্যামস্স্ট্যাক: একটি ডাটা অ্যানালিটিকস প্ল্যাটফর্ম। যা অ্যানালিটিকস পাইপলাইন ও মডেল ব্যবহারের মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ ডাটা থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে।
সোসাইনঃ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে মানুষজন ব্র্যান্ড সম্পর্কে কি বলছে এবং কি ভাবছে এ নিয়ে পদ্ধতিগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করার অ্যানালিটিক প্ল্যাটফর্ম। সোসাইন হচ্ছে, সোশ্যাল অ্যানালিটিকস।
সিএমইডিঃ এটি কম খরচে ও সাশ্রয়ী উপায়ে স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ক্লাউড ভিত্তিক মেডিকেল ব্যবস্থা। যা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মেডিকেল খরচ কমিয়ে আনবে।
বাজঅ্যালিঃ ব্র্যান্ডগুলোর জন্য মোবাইল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে। গ্রাহকদের ব্র্যান্ড সম্পর্কে আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে অডিয়েন্স টার্গেটিং নিয়ে কাজ করে। এদের প্রথম উদ্ভাবনী পণ্যটি হচ্ছে মিসড কল মার্কেটিং।
ঘুরিঃ বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী হোটেল ও ট্যুর প্যাকেজ রিজার্ভেশন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।