শুক্রবার ● ৩১ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » সর্বশেষ সংবাদ » সেভ ওয়ান আওয়ার ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের পুরস্কৃত করলো ফুডপান্ডা
সেভ ওয়ান আওয়ার ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের পুরস্কৃত করলো ফুডপান্ডা
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা ফুডপান্ডা বাংলাদেশ মে মাসে সেভ ওয়ান আওয়ার নামে একটি অনলাইন ক্যাম্পেইন চালু করে। এই ক্যাম্পেইনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) ২৫ মে, ২০১৫ থেকে চার সপ্তাহ ধরে চলে।
এই ক্যাম্পেইনটি সেই এক ঘণ্টার উপরে মনোনিবেশ করে, যে একটি ঘণ্টা মানুষ খাবার অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করেন এবং তার থেকেও বেশী এই যে তারা এই এক ঘণ্টা সময় কি করে আরো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে অংশগ্রহণকারীরা জিতে নেন ভাউচার, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন এবং আর অনেক উপহার। এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারীদের অনুরোধ করা হয় যেন তারা ছবি অথবা ছোট ভিডিওর মাধ্যমে তারা ফুডপান্ডায় খাবার অর্ডার দেবার মাধ্যমে বাঁচানো সময় কিভাবে ব্যয় করেন তা ফুডপান্ডার কাছে পাঠিয়ে দেন।
ক্যাম্পেইনটিকে আরো প্রাণবন্ত করতে ফুডপান্ডা বাংলাদেশের উদীয়মান মডেল এবং অভিনেত্রী নায়লা নায়েমের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ক্যাম্পেইন চলাকালীন, প্রতি সপ্তাহে নায়লা নায়েম তার ফ্যানদের জানান তিনি ফুডপান্ডায় খাবার অর্ডার দেবার মাধ্যমে কিভাবে তার সময় বাঁচান এবং সেই সময়টি উৎপাদনশীল এবং বিনোদনমূলক কাজে ব্যয় করেন।
৩০ জুলাই ফুডপান্ডা বাংলাদেশ রাজধানীর বনানীর রাইস এন্ড নুডলসে এই ক্যাম্পেইনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ক্যাম্পেইনের গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ী সোমা আখতারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নায়লা নায়েম। ফুডপান্ডার ম্যানেজিং ডিরেক্টরদ্বয় জুবায়ের সিদ্দিকী এবং আম্বরীন রেজার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফুডপান্ডার মার্কেটিং হেড সাকেরিনা খালেদ। তারা অনুষ্ঠানে ক্যাম্পেইনের সফলতা তুলে ধরেন।
ক্যাম্পেইনটির বিশাল সাফল্যের পর ফুডপান্ডা তার গ্রাহকদের এবং ভক্তদের নিশ্চিত করছে যে ভবিষ্যতে তাদের জন্য আরো আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইন অপেক্ষা করছে।
‘ফুডপান্ডা’ একটি অনলাইন ফুড অর্ডারিং ওয়েবসাইট - রকেট ইন্টারনেট এর ব্যবসায়িক উদ্যোগ, যার হেড কোয়ার্টার বার্লিনে অবস্থিত। ফুডপান্ডার মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন খাবার রেস্টুরেন্ট থেকে ঘরে বসেই খাবার অর্ডার করা যায়। বর্তমানে ফুডপান্ডা বিশ্বের ৫টি মহাদেশের ৩৬টি দেশে কাজ করছে, আর বাংলাদেশের ৩টি শহর ঢাকা, চট্রগ্রাম এবং সিলেটে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে চালু আছে