বুধবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সৌরঝড় নিয়ে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা
সৌরঝড় নিয়ে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা
বেশ কয়েক বছর ধরেই খুব শান্ত ছিল সূর্য। তার এত শান্ত রূপ কৌতূহলী করে তুলেছিল বিজ্ঞানীদেরও। কিন্তু অবশেষে তার শান্ত রূপ ভেঙে সূর্য এ বার চরম রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, গত রবিবার খুব বড় একটা সৌর ঝড় হয়। এর ফলে সূর্য থেকে তীব্র বেগে বিভিন্ন বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ছে সৌর জগতের চারপাশে।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই সৌর ঝড়ের প্রায় দু’ঘণ্টা পরে একটা বড় সৌর শিখা দেখা গিয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ঘটনায় তিন রকমের বিকিরণ বেরোয় সূর্য থেকে। এর মধ্যে প্রথম ধরনের বিকিরণ অর্থাৎ তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ রবিবার থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে মহাকাশে। বুধবার পর্যন্ত সূর্য থেকে এই বিকিরণ বেরোবে বলে জানালেন তাঁরা। এই বিকিরণ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলা বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ এবং মহাকাশচারীদের উপর প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। মেরু অঞ্চলে যাতায়াতকারী বিমানগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে ২০০৫-এর মে মাসের পরে এই প্রথম এত বড় সৌর ঝড়ের সন্ধান পাওয়া গেল।
সৌরঝড়। নাসার ক্যামেরায়।
তবে এর পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় সূর্য থেকে যে প্রোটন কণার স্রোত ও ‘করোনাল মাস ইজেকশন’(একাধিক কণার স্রোত) নির্গত হবে তা পৃথিবীতে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে জানিয়েছেন নাসার গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের পদার্থবিদ আন্তি পুলকিনেন। প্রোটন কণা ঘণ্টায় ১৫ কোটি কিলোমিটার বেগে আর ‘করোনাল মাস ইজেকশন’ ঘণ্টায় প্রায় ৩২ লক্ষ কিলোমিটার বেগে ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার মুখপাত্র রব নাভিয়াস জানান, এই বিকিরণের হাত থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই। প্লুটো অবধি ছড়িয়ে পড়েছে এই বিকিরণ। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে এর প্রভাবে মেরুজ্যোতি দেখতে পাওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছে নাসা।