শুক্রবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বিনামূল্যে ইন্টারনেট পাবে সব সরকারি অফিস
বিনামূল্যে ইন্টারনেট পাবে সব সরকারি অফিস
সকল সরকারি অফিসে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এজন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ‘ন্যাশনাল ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাগভনেট’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের ১৮ হাজার অফিস বা দফতরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। এ যোগাযোগ স্থাপিত হবে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় পর্যন্ত। এজন্য আগামী সপ্তাহেই বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ১৮ হাজার উন্নতমানের ট্যাবও প্রদান করা হবে, যেন সরকারি কাজে আরও গতিশীলতা আসে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল দেশে গড়তে হলে ডিজিটাল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সামনে আমরা ‘স্ট্রামিশন ডিজিটাল কানেকটিভিটি’ নামে আরেকটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। এখন যেমন সরকারের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ স্থাপন হচ্ছে, তেমনি নতুন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সরকার ও জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রত্যেক অফিসের প্রত্যেকটি বিভাগে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে এক লাখ ফ্রি ওয়াইফাই হটস্পট জোন করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও গতি আনতে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হবো আমরা। তখন ১৩শ‘ জিবিপিএস স্পিড পাওয়া যাবে। এছাড়া, জি ক্লাউডে যাওয়ার জন্য পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তর ডেটা সেন্টার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন। দুইশ’ কোটি ডলারের এ প্রকল্পের কাজ শিগগির শুরু করা যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, একটা সময় আমরা দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তখন রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর দায়ভার এসে পড়েছিল। কিন্তু কী মিরাকল দেখালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! গত ছয় বছরে আমরা সে অবস্থা থেকে ফিরে এসেছি। একটি সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। এর কারণ হচ্ছে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার। কেবল প্রযুক্তিই পারে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমেই দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, আগে জমির পচরা তুলতেও মন্ত্রী, এমপি, ডিসির সুপারিশ লাগতো। কেবল প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে কোনো তদবির ছাড়াই এখন সে পচরা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আইসিটি পলিসি করেছেন। তিনি ৩০৬টি করণীয় নির্ধারণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে বাংলাগভনেট প্রজেক্ট প্রথম পদক্ষেপ। সেমিনারে সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের কষ্টার্জিত পয়সায় ও বিদেশি ঋণ নিয়ে বাস্তবায়নাধীন এ প্রজেক্টকে সফল করতে সবার সহযোগীতা প্রয়োজন। আশা করি আপনারা সহযোগীতা করবেন।
বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সেক্রেটারি ইনচার্জ শ্যাম সুন্দর শিকদার, প্রকল্প পরিচালক (বাংলাদেশ অংশের) মাহবুবুর রহমান, ইন হিউন ছোই প্রমুখ।