শনিবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনে কাজ করছে একটাটেক
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনে কাজ করছে একটাটেক
সঙ্গাপুর ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান একটাটেক বাংলাদেশের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশন করার উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের সঠিক উপস্থিতি নিরূপণে একটাটেক নিয়ে এসেছে ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম। ইতোমধ্যেই দেশের বিখ্যাত ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রতিষ্ঠানটির পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স¤পূর্ণ অটোমেশন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স¤পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনে অন্তর্ভুক্ত হবে। একটাটেকের স্কুল অটোমেশনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির ব্যাপারে অভিভাবকদের নিশ্চিত থাকতে সহায়তা করবে।
স্কুল অটোমেশন স¤পর্কে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ শহীদুল আলম মঞ্জু বলেন, বর্তমানে আমরা একটাটেকের সিকিউরিটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করছি তবে আগামী সেশন থেকে আমরা স¤পূর্ণ স্কুল পেপার লেস করে ফেলবো। আমরা অ্যাকাউন্ট, ছাত্র-শিক্ষক এবং ম্যানেজমেন্টের জন্য ভিন্ন ক্যাটাগরিতে অটোমেশন করেছি। শিগগির আরএফআইডি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী স্কুলে প্রবেশ করা মাত্রই সিস্টেম তাকে কাউন্ট করবে এবং অভিভাবকের কাছে তাৎক্ষণিক এসএমএস চলে যাবে। স্কুল অটোমেশন সময় বাড়ায় এবং কাজ এগিয়ে দেয় বলেও তিনি জানান। স্কুল অটোমেশন প্রসঙ্গে একটাটেকে কর্মরত একমাত্র বাংলাদেশি ও নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ সাইফুর রহমান পল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় তাদের অভিভাবক এসএমএস ও ই-মেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পাবেন, গাড়িতে বাসায় ফেরার সময় কোথায় অবস্থান করছে তা র্ট্যাকিং করতে পারবেন, ডাটা সার্ভারে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক পারফর্মেন্স তাৎক্ষণিক দেখাতে পাবেন, সিকিউরিটি ডিভাইসে কার্ড পাঞ্চ করার সময় সঠিক ব্যক্তিই ডিভাইসটি ব্যবহার করেছে কিনা তা ভিডিও অপশনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। তিনি আরও জানান, ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম পদ্ধতিতে কয়েক ভাবেই অ্যাটেন্ডেন্স নেওয়া যাবে। কেউ চাইলে ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতিতে বা আইডি কার্ডের মাধ্যমে এটি পরিচালনা করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য এমন একটি কোড নম্বর ব্যবহার করতে হবে আইডি কার্ডে যা অন্য কারোর সাথেই মিল থাকবে না। পল বলেন, সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে বাংলাদেশ যারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের মধ্য থেকে যদি কেউ আমাদের এই স্কুল অ্যাটেন্ডেস সার্ভিসটির বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে আগ্রহী থেকে থাকেন; একটাটেকের পক্ষ থেকে তাদেরকে ওয়েলকাম জানানো হাবে। সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটাটেকের এই ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই অটোমেশন পদ্ধতি চালু হবে। একই সাথে বাংলাদেশে একটাটেকের দক্ষিণ এশিয়ার হেড কোয়ার্টার স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে। এ স¤পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে মেইল করা যাবে info@actatek.com ঠিকানায়।