মঙ্গলবার ● ১৮ নভেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি পড়াশোনা » “শিক্ষায় বিনিয়োগ” স্লোগানে বিশ্ব শিশু দিবসে অংশ নেবে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক
“শিক্ষায় বিনিয়োগ” স্লোগানে বিশ্ব শিশু দিবসে অংশ নেবে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক
শিশু অধিকার রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে আগামী ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবসে সারাদেশে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহনে প্রচার অভিযানের আয়োজন করেছে জাগো ফাউন্ডেশনের ইয়ুথ উইং ‘ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ’ (ভিবিডি)।
এ প্রচার অভিযানে সহযোগিতা করবে বেক্সিমকো ফার্মা, আমেরিকান সেন্টার ও ট্রান্সকম ফুড লিমিটেড।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে জাগো ফাউন্ডেশনের আয়োজিত ‘শিশুদের শিক্ষা প্রসারে আপনি কি বিনিয়োগ করেছেন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ বলেন, বিশ্ব শিশু দিবসে শিশুদের অধিকার নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য ২০ নভেম্বর দিনভর এ প্রচার অভিযান চলবে। দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে প্রতিবছর স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে এ আয়োজন করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ স্লোগানে ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবসে সারাদেশে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এতে অংশ নেবে। স্বেচ্ছাসেবকরা পথে পথে শিশু শিক্ষার অধিকার সচেতনতা তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় সুবিধাবঞ্চিত পাঁচ শতাধিক শিশুকে বনানী সোসাইটি পার্কে দিনভর আনন্দ দেওয়া হবে। জেলায় জেলায় অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আনন্দ দিতে বিনোদন কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
করভি রাখসান্দ বলেন, আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সমাজ থেকে দারিদ্র দূরীকরণ।শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণ এবং জাতিকে পুনগঠন স্লোগানে ২০০৭ সাল থেকে এসব কাজ করে যাচ্ছে জাগো ফাউন্ডেশন।
তিনি বলেন, জাগো ফাউন্ডেশন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষায় এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে গ্রামীণফোন ও অগ্নি লিমিটেড’র বান্দরবান, গাজীপুর, মাদীরপুর, গাইবান্ধা ও রাজশাহীতে পাঁচটি অনলাইন স্কুল পরিচালনা করছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের মতিঝর্ণা, ঢাকার রায়ের বাজার বস্তি ও বনানীর করাইল বস্তিতে অধিকার বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে তিনটি বিদ্যালয় পরিচালনা করছে।
আগামি ডিসেম্বরে টেকনাফ, রংপুর, লক্ষীপুর, দিনাজপুর ও হবিগঞ্জ এলাকায় পাঁচটি অনলাইন স্কুল এবং গাজীপুরের কালিগঞ্জ এলাকায় একটি অর্ফানেজ বিদ্যালয় চালু করবে।এসব বিদ্যালয় ১ হাজার ৬শ শিশুর মধ্যে ১ হাজার ৫শ শিশুকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
করভি রাখসান্দ বলেন, আগামিতে সব জেলায় এসব বিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ইংরেজি মাধ্যমে বিনামূল্যে শিক্ষা দিতে সহযোগিতা করছে।
আগামি ১-২ বছরের মধ্যে আরো ১৪টি অনলাইন বিদ্যালয় খোলা হবে। অনলাইনে শিক্ষার ফলে সরকারের মাল্টিমিডিয়ায় শিক্ষাদান আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আমেরিকান সেন্টারের সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা কেলভিন হায়েস বলেন, শিশুদের শিক্ষায় বিনিয়োগ একটি প্রগতিশীল ভবিষ্যতের অপার সম্ভাবনার পথ খুলে দেয়। ভিবিডি এ সম্ভাবনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক অভিযাত্রী ওয়াসফিয়া নাজরীন বলেন, দেশকে উন্নতির শিখরে নেওয়ার জন্য প্রতিটি শিশুকে শিক্ষিত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের জন্য বেশি প্রয়োজন। শিশুদের মানসম্মত শিক্ষায় বিনিয়োগ আরো বেশি জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সকম ফুড লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্কু চৌধুরীসহ ভিবিডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।