সোমবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০১২
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি » বায়ো ডাইজেস্টার টয়লেট উদ্ভাবিত
বায়ো ডাইজেস্টার টয়লেট উদ্ভাবিত
কাশ্মীরের সমতল থেকে প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার উঁচুতে তাপমাত্রা মাঝেমধ্যে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায়। এত ঠাণ্ডার কারণে সেখানে অবস্থানরত ৫০ হাজার সেনা এতদিন মলমূত্র ত্যাগের পর বরফ দিয়ে ঢেকে রাখতেন। ফলে গ্রীষ্মকালে যখন বরফ গলে যেত তখন মলগুলো বের হয়ে যেত। পানিসহ দূষিত হতো আশপাশের পরিবেশ।
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রায় ১৫ বছর আগে গবেষণা শুরু করে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ডিআরডিও’র বিজ্ঞানীরা। অবশেষে তারা একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। তারা এমন একটি টয়লেট উদ্ভাবন করেছেন যেটা আসলে বিশেষভাবে তৈরি একটি ট্যাঙ্ক। মানুষের মল এই ট্যাঙ্কে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশে মিথেন গ্যাস আর পানিতে রূপান্তরিত হয়। এরই মধ্যে ভারতের কেরালা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে কয়েকটি দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসন প্রায় ১২ হাজার বায়ো-ডাইজেস্টার টয়লেট কিনতে চেয়েছে। প্রতিটি টয়লেটের দাম ২৫ হাজার রুপি। ভারতের বণিক সমিতি ‘ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, এফআইসিসিআই’ এই টয়লেট বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছে। এটা ছাড়াও প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীদের তৈরি আরও নয়টি প্রযুক্তি বিক্রির জন্য এফআইসিসিআই ও ডিআরডিও’র মধ্যে চার বছরের চুক্তি হয়েছে।
২০০৮ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তির সুফল সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। এ লক্ষ্যে ডিআরডিও’র প্রায় ২০০ প্রযুক্তি বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহনের জন্য তাপরোধক ঢাল, আলো নিয়ন্ত্রক জানালা, মশা তাড়ানোর যন্ত্র ও ডেঙ্গু নিরোধক যন্ত্র। এ ছাড়া এমন এক ধরনের স্প্রে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা পোশাককে পোকামাকড়মুক্ত রাখবে। আগুন নেভানোর যন্ত্র ও ছারপোকা দমনকারী ক্রিমও বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা চলছে। সূত্র : ডিডব্লিউ