বুধবার ● ৫ নভেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মুখের স্বাদ বাড়াবে ইলেক্ট্রিক চামচ
মুখের স্বাদ বাড়াবে ইলেক্ট্রিক চামচ
একবার ভাবুনতো আপনি মিষ্টি খাওয়ার আনন্দ পাচ্ছেন দাঁতের ক্যাভিটি বা অতিরিক্ত ওজনের ভয় ছাড়াই। আমরা প্রতিটি খাবারের মাঝেই স্বাদ খুঁজি কারণ খাওয়ার মজাটাইতো লুকিয়ে আছে স্বাদের মাঝে।
কিন্তু অনেক ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগী রয়েছেন যাদের মিষ্টি বা লবণ খাওয়া একদম বারণ। অনেকে আবার অতিরিক্ত ওজনের ভয়ে মিষ্টি খেতে পারেন না। তবে লবণ চিনি বা টক ছাড়া খাবারে স্বাদও কেমন যেন ফিকে হয়ে যায়। তাই খাবারে স্বাদ বাড়াতে না পারলেও আপনার মুখেই স্বাদ বাড়ানোর যন্ত্র আবিষ্কার করল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিজ্ঞানীরা। তারা এমন একটা ইলেক্ট্রিক চামচ আবিষ্কার করেছে যা কিনা আমাদের মুখে সেসব স্বাদ দিতে পারবে যা আমরা হয়তো প্রেশার, ডায়বেটিস কিংবা ডায়েটের কারণে খেতে পারিনা।
ইলেকট্রিক এই চামচ দিতে পারবে লবণাক্ত, মিষ্টি, ও টক ফ্লেভার। এতে রয়েছে ‘ডিজিটাল টেস্ট সিমুলেটর’ যা মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রিক কারেন্ট ও ফ্রিকোয়েন্সিতে পরিবর্তন আনে যা আমাদের মুখে বিভিন্ন টেস্টের সেন্স তৈরি করে।
শুধু স্বাদ দিলেইতো হয়না কারণ প্রতিটা স্বাদের রয়েছে আলাদা গন্ধ, রঙ ও রূপ। তাই সব দিক মাথায় রেখেই বিজ্ঞানীরা এই অদ্ভুত চামচ তৈরি করেছে যা কিনা বাড়াবে আপনার মুখের স্বাদ। এই চামচটি এই সপ্তাহেই ফ্লোরিডার এসিএম মাল্টিমিডিয়ার কনফারেন্সে উন্মুক্ত করা হবে। তবে ইতোমধ্যেই এর কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য কিছু সংখ্যক মানুষকে এটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয় এবং তারা এটি ব্যবহার করে ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ স্বাদ পেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান। তবে তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ এর মেটাল ইলেক্ট্রডের স্বাদ একটু কম করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। এই সমস্যারও সমাধান খুব শীঘ্রই করা হবে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। আশা করা যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে আসবে এই অভিনব ইলেক্ট্রিক চামচ।
এই চামচটি ডায়বেটিস ও হার্টের রোগী যাদের চিনি ও লবণ খাওয়া মানা তাদের জন্য খুবই উপকারী। সারা বিশ্বে খাবারের অনেক এমন অনেক জটিল ফ্লেভার আছে যা তৈরি করা সম্ভব। আর এসব জটিল ফ্লেভারের স্বাদ যা আমাদের মস্তিষ্ক বাস্তব ভাবতে সহায়তা করবে, এমন কিছু নিয়েই বিজ্ঞানীরা এখন কাজ করছেন।