শুরু হলো বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো খুলনা ২০১২

১৪ জানুয়ারি শনিবার খুলনার নিউ হোটেল টাইগার গার্ডেনে শুরু হল বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, খুলনা শাখা আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো খুলনা ২০১২। এ প্রদশর্নীর শ্লোগান হল -‘ডিজিটাল শিক্ষাই ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি’। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল প্রদর্শনী আয়োজনে সহযোগিতা করছে। প্রদর্শনী চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
খুলনা-৩ আসনের সংসদ-সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম মঞ্জু নিউ হোটেল টাইগার গার্ডেনে সকালে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: সাইফুদ্দিন শাহ, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ জনাব আজমল আহমেদ তপন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি জনাব মো: ফয়েজউল্যাহ্ খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, খুলনায় এ প্রদর্শনী এখন সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে। নিয়মিতভাবে এ ধরনের প্রদর্শনী আয়োজনের ফলে এখানকার জনগণের মাঝে প্রযুক্তি সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উৎকর্ষতা তৈরী হবে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, খুলনা শাখা এবং প্রদর্শনীর আহ্বায়ক জনাব মো: নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রদর্শনীর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ও বিসিএসের মহাসচিব জনাব মো: শাহিদ-উল-মুনীর, প্রর্দশনীর প্লাটিনাম স্পন্সর বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লি: এর হেড হেড অব সেল্স তামিম আহমেদ, বিসিএস খুলনা শাখার সেক্রেটারী এস.এম মনিরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিএসর সহ-সভাপতি জনাব মো: মইনুল ইসলাম, অনুষ্ঠানে বিসিএস খুলনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মুন্সী আরিফুজ্জামান, সেক্রেটারী মনিরুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারী জনাব শেখ শাহিদুল হক সোহেল, কোষাধ্যক্ষ জনাব আহমেদ কবীর, জনাব শাহিনুর আলম, জনাব শামসুজ্জামান লাবুসহ খুলনা কম্পিউটার সিটির কম্পিউটার ব্যবসায়ীসহ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সংশ্লিষ্ট অনেকে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরপরই মেলা সকলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর এ সময়ে মেলা প্রাঙ্গন মুখরিত হয় বিভিন্ন বয়সের মানুষের পদচারণায়। নানা ধরনের তথ্যপ্রযুক্তির সর্বশেষ সংস্করণ এ মেলায় দেখানো হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ২৭ টি স্থানীয় ও দেশী প্রতিষ্ঠান এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে। প্রায় ২০,০০০ বর্গফুট স্থান জুড়ে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে থাকছে ৩৯টি স্টল।
প্রদর্শনীর প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিনের টিকেটের উপর রয়েছে র‌্যাফেল ড্র এবং তাতে থাকছে আকর্ষনীয় পুরষ্কার। মেলায় ইন্টারনেট ফ্রি ব্যবহারের সুযোগ থাকছে দর্শনার্থীদের। পাশাপাশি অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং, আইপি টিভি, অনলাইন রেডিও, ইন্টারনেট গেমিং ইত্যাদি ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকছে। আর শিশুদের জন্য থাকছে মজাদার ভিডিও গেম খেলার সুযোগ। এজন্য মেলার গোল্ড স্পন্সর ইউসিসি পৃথক গেমিং জোনের ব্যবস্থা থাকছে প্রদর্শনীতে।

১৬ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় প্রর্দশনীর ৩য় দিন থাকবে শিশুতোষ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। তিনটি গ্র”পে বিভক্ত হয়ে শিশুরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বয়সভিত্তিক তিনটি গ্র”পে স্কুল শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারবে। প্রতিযোগিতার গ্র”প ও বিষয়গুলো হলো Ñ ক গ্র”প (বয়স: ৩-৬ বছর): যেমন খুঁশি তেমন আঁকো, খ গ্র”প (৭-৯ বছর) : কম্পিউটার/ল্যাপটপ/তথ্যপ্রযুক্তি এবং গ গ্র”প (১০-১২ বছর): ডিজিটাল বাংলাদেশ।
প্রদর্শনীতে প্রবেশমূল্য সাধারণ দর্শকদের জন্য ১০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। বিসিএসের অন্যান্য প্রদর্শনীর মতো এবারও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিনামূল্যে প্রদর্শনীতে প্রবেশ করতে পারবে। ১৮ জানুয়ারি ২০১২ রাত ৮ টায় প্রদর্শনীর সমাপ্তি ঘটবে।
প্রর্দশনীটির প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ফোর জি প্রযুক্তির ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বিশ্বখ্যাত ল্যাপটপ ব্র্যান্ড ফুজিৎসু এবং দেশীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কম্পিউটার সেন্টার (ইউসিসি); সিলভার স্পন্সর হিসেবে রয়েছে সাড়া জাগানো ল্যাপটপ ব্র্যান্ড- আসুস এবং বিশ্বখ্যাত এন্টিভাইরাস আভিরা। প্রর্দশনীর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার স্পন্সর কম্পিউটার সলিউশন ইঙ্ক, টিকেট ও ডিনার স্পন্সর আরএম সিষ্টেমস লিমিটেড, টিকেট কাউন্টার স্পন্সর সোর্স এজ লিমিটেড, ভলান্টিয়ার ড্রেস স্পন্সর ইমাম টেলিকম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্পন্সর বিজসেনল্যান্ড।