মঙ্গলবার ● ১৪ অক্টোবর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি বিনোদন » পর্নো নিষিদ্ধ হচ্ছে!
পর্নো নিষিদ্ধ হচ্ছে!
তথাকথিত ‘রিভেঞ্জ পর্নো’ বা প্রতিশোধমূলক নগ্ন, আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও ফাঁস, প্রচার ও বিতরণ নিষিদ্ধ হচ্ছে ব্রিটেনে। এ আইনের আওতায় অপরাধীর সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
নতুন এ আইন কার্যকর করার লক্ষ্যে দেশটির নতুন ফৌজদারি বিচার ও আদালত বিলে সংশোধনী আনা হবে। এ ব্যাপারে ব্রিটেনের বিচারমন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং বলেন, ‘যারা আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও ফাঁসের মতো অস্বস্তিকর আচরণের শিকার হোন তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিতেই এ আইন করা হচ্ছে।’ প্রিন্টেড বা ডিজিটাল এবং অনলাইনে বা অফলাইনে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও বিতরণও এ আইনের আওতায় পড়বে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এমন অনেক মানুষ আছে যারা তাদের সাবেক সঙ্গীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফাঁস করে দেয় তার অনুমতি ছাড়াই। মূলত প্রতিশোধ নেয়ার উদ্দেশ্যেই এধরনের ঘৃণ্য কাজ করা হয়ে থাকে। আমরা চাই এসব অপরাধীদেরও বিচারের আওতায় আনতে।’
সংশোধিত বিলে ফেসবুক, টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি প্রকাশ বা বিনিময় করাও এ আইনের আওতাভুক্ত করা হবে। এমনকি অবমাননাকর টেক্সট ম্যাসেজও অপরাধ বলে গণ্য হবে।
এ ব্যাপারে ভিকটিম সাপোর্ট নামে একটি দাতব্য সংস্থার সহকারী প্রধান নির্বাহী অ্যাডাম পেমবারটন বলেন, ‘এ ধরনের আচরণ ভুক্তভোগীর জন্য কখনও কখনও এতটাই বিব্রতকর যে তারা গুরুতর মানসিক সমস্যায় ভোগেন।’ যেসব লোক এসব ঘৃণ্য কাজ করে তারা আইনের আওতায় আসছে। এ আইন প্রতিশোধমূলক পর্নো’র শিকারদের যথেষ্ট সমর্থন দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পেমবারটন।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বেই এখন রিভেঞ্জ পর্নো বাড়ছে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর প্রেমিক/প্রেমিকাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেই এ রিভেঞ্জ পর্নো। সম্পর্ক থাকার সময় তোলা কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি মোবাইল ফোনে বা কম্পিউটারে থাকলেই পরে তা ছড়িয়ে দেয়া হয় সোশ্যাল সাইটে। এমনকি মাত্র ১১ বছরের শিশুরাও বাদ যাচ্ছে না এই বিকৃত মানসিকতার কবল থেকে।
এসব বিবেচনা করেই নতুন এ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে ব্রিটেনের সরকার। দেশটিতে গত আড়াই বছরে আটটি পুলিশ স্টেশনে মোট ১৪৯টি রিভেঞ্জ পর্নোর অভিযোগ উঠেছে যেখানে নারীরাই তুলনামূলকভাবে বেশি ভুক্তভোগী।