বুধবার ● ১ অক্টোবর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশ
গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশ
সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় (মেক্সিকোর স্থানীয় সময় ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়) তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতি-স্বরূপ আবারও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেল বাংলাদেশ। তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের অগ্রগতিতে অনন্য অবদানের জন্য মেক্সিকোর গুয়াদালাজারা শহরে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে (ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটি - ডব্লিওসিআইটি) আনুষ্ঠানিকভাবে “পাবলিক সেক্টর এক্সিলেন্স” ক্যাটাগরিতে “গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড” গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকত মোঃ আবু নাছের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১০ জুন সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় আর্ন্তজাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা (আইটিইউ) ই-সেবাই অনন্য অবদান রাখায় এবং জনগণের দোরগোড়ায় প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) প্রকল্পকে ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্যা ইনফরমেন সোসাইটি (ডব্লিওএসআইএস) ক্যাটাগরিতে ডব্লিওএসআইএস+১০ পুরস্কার প্রদান করে।
এ পুরস্কার গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশর যে স্বপ্ন দেখিয়ে আমাদেরকে একটি আধুনিক ও স্বনির্ভর জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রেরণা যুগিয়েছেন, এ পুরস্কার তাঁর সে প্রেরণাদায়ী দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার যুগোপযোগী নেতৃত্ব ও তাঁর সুযোগ্য দৌহিত্র, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক দিকনির্দেশা ও প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে ডিজিাটাল বাংলাদেশের গন্তব্যে আমরা প্রতিনিয়তই এগিয়ে যাচ্ছি। তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাঁড়া দেয়ায়, এ পুরস্কার বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের বিজয় বলে আমি মনে করি।”
ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (WITSA)’র ৮০টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের উদ্ভাবনী কাজের জন্য এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। পাবলিক সেক্টর এক্সিলেন্স, প্রাইভেট সেক্টর এক্সিলেন্স, ডিজিটাল অপরচ্যুনিটি ও সাসটেইনেবল গ্রোথ ক্যাটাগরিতে প্রতি দু’বছর অন্তর অন্তর এ পুরস্কার দেয়া হয়।
ডব্লিউএসআইএসির এই প্রতিযোগিতায় সরকারি, বেসরকারি, সাধারণ নাগরিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প জমা দেওয়ার সুযোগ থাকে। ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির অংশীদাররা এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। দেশে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এই অগ্রগতির অংশ হিসেবে এবার গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্স (ডব্লিউআইটিএসএ) প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর ‘গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’-এর আয়োজন করে থাকে।
-মিজানুর রহমান সোহেল