বৃহস্পতিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি বিনোদন » তারকাদের নগ্ন ছবি ফাঁসের কারণ ‘সহজ পাসওয়ার্ড’
তারকাদের নগ্ন ছবি ফাঁসের কারণ ‘সহজ পাসওয়ার্ড’
জেনিফার লরেন্সসহ কয়েক হলিউড তারকার নগ্ন ছবি ফাঁসের খবর অনেকেই জানেন এখন৷ কিন্তু জানেন কি কিভাবে এ সব ছবি ফাঁস হলো? সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জেরোম বিলোয়িস জানেন৷ চলুন তাঁকে প্রশ্ন করি৷
তারকাদের অ্যাকাউন্ট কিভাবে হ্যাক হলো?
অ্যাপল-এর অনলাইন স্টোরেজ ‘আইক্লাউড’ থেকে ছবি হ্যাক হওয়ার খবর প্রথম প্রকাশ করে ‘গিটহাব’ নামক একটি ওয়েবসাইট৷ আইফোন-এর একটি অপশনের নাম ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’৷ এই অপশন ব্যবহার করে হারানো আইফোন খুঁজে পাওয়া যায়৷ হ্যাকাররা কার্যত এই অপশন ব্যবহার করে আইক্লাউড-এ থাকা নগ্ন ছবি ফাঁস করেছে৷
এক্ষেত্রে সহায়তা করেছে অ্যাপল-এর কিছু কারিগরি বিষয়৷ যেমন ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ অপশনে প্রবেশের জন্য যে ওয়েবসাইট রয়েছে, সেটিতে ‘লগ-ইন’-এর বিষয়টি সাধারণ পর্যায়ের ছিল৷
ফলে একজন অসংখ্যবার ভুল পাসওয়ার্ড দিলেও পাতাটি ‘লক’ হতো না৷ হ্যাকাররা ছোট্ট একটি হ্যাকিং সফটওয়্যার তৈরি করে তারকাদের সম্ভাব্য পাসওয়ার্ডগুলো দিয়ে অনবরত ‘লগ-ইন’ করার চেষ্টা করেছে এবং এক পর্যায়ে সফল হয়েছে৷
এ ধরনের আক্রমণ কিভাবে রোধ করা যায়?
বর্তমানে একজন ফোন ব্যবহারকারী সবকিছু ক্লাউডে-এ সেভ করতে পারেন৷ এর সুবিধা হচ্ছে, কেউ ফোন বদল করলে কোনো তথ্য হারায় না৷ অর্থাৎ, নতুন ফোনে আইক্লাউড থেকে সব আবার ডাউনলোড করা যায় বা ‘সিঙ্ক’ করা যায়৷ আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, ফোন হারিয়ে গেলেও সব তথ্য উদ্ধার করা যায়৷
সমস্যা হচ্ছে, এ সব তথ্য রক্ষা করা হয় পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে৷ আর এই পাসওয়ার্ড যদি দুর্বল হয়, তাহলে সেবা যতই সুরক্ষতি হোক কোনো লাভ নেই৷ হ্যাকাররা সহজেই তখন মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি হ্যাক করতে পারে৷
পরামর্শ হচ্ছে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের৷ পাসওয়ার্ড জটিল এবং বড় আকারের হতে হবে৷ প্রয়োজনে পাসওয়ার্ডের সঙ্গে সিকিউরিটি কোড ফাংশনও যোগ করা যেতে পারে৷ তাহলে পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি ‘লগ-ইনের’ সময় একটি কোডের দরকার হবে যা মুঠোফোনে মেসেজ আকারে পাঠায় সেবাদাতা৷ গুগল, ফেসবুকসহ অনেক ইন্টারনেটে সেবাদাতা এই সেবা দিয়ে থাকে৷DW