বুধবার ● ২ অক্টোবর ২০১৩
প্রথম পাতা » আলোচিত সংবাদ » কয়েদির পোশাক দেন পরে দেখি কেমন লাগে
কয়েদির পোশাক দেন পরে দেখি কেমন লাগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি বিএনপির সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে কনডেম সেলে রয়েছেন। সেলে প্রবেশের আগে কারা কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেন, কয়েদির পোশাক দেন, পরে দেখি কেমন লাগে।মঙ্গলবার রাত ৯টায় সাকা চৌধুরীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ কাশিমপুরে আনা হয়।
কারাগার সূত্র জানায়, রাতে কয়েদি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ কাশিমপুরে আনা হয়। কারাগারে আনার পর কিছু সময় তাকে একটি রুমে বসিয়ে রাখা হয়। আদালতের আদেশ ও জেল কোডের বিধান অনুযায়ী বাতিল করা হয় ডিভিশন।
সাধারণ পোশাক খুলে কয়েদির পোশাক পরানোর জন্য তা সাকার কাছে আনা হয়। এ সময় কয়েদির পোশাক দেখেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, কয়েদির পোশাক দেন। পরে দেখি কেমন লাগে।
কারা সূত্র আরও জানায়, কয়েদির পোশাক পরানোর পর আসামিকে নিয়ে যাওয়া হয় সাধারণ ফাঁসির সেলে। সাধারণ ফাঁসির সেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আলাদা একটি রুমে রাখা হয়েছে। একজন মানুষ থাকতে পারেন এমন একটি রুমে বন্দি আছেন তিনি। তাকে দেওয়া হয়েছে দুটি কম্বল। একটি কম্বল ফ্লোরে বিছিয়ে আরেকটি কম্বল দিয়ে বালিশ বানিয়ে ঘুমাবেন তিনি।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রুমে একটি এটাস্ট বাথ রুম রয়েছে। বেশি নড়াচড়া করার মতো জায়গা ওই রুমে নেই। আনুমানিক ৮০ বর্গ ফুটের ওই রুমে একটি লাইট রয়েছে। কঠিনভাবে আবদ্ধ ওই রুমে আলো বাতাসের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। জেল কোড অনুসারেই সাধারণ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মতো সুযোগ সুবিধা পাবেন তিনি।
কারাগারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামির যেমন বিচলিত হওয়ার কথা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে তেমন বিচলিত হতে দেখা যায়নি। খুব স্বাভাবিক ও স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে তিনি কারাগারে অবস্থান করছেন।
এদিকে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রাতের খাবার খেয়ে আসার কারণে কাশিমপুর কারাগারে কোনো খাবার দেওয়া হয়নি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে। তবে, সাধারণ ফলমূল খেতে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ কাশিমপুরের জেলার মুজিবুর রহমান জানান, আদালতের আদেশ ও জেল কোড অনুসারে সাধারণ ফাঁসির আসামির মতোই কনডেম সেলে আছেন সাকা চৌধুরী।
-বাংলানিউজ