বৃহস্পতিবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ফেসবুকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক স্ট্যাটাস ও বিতর্ক
ফেসবুকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক স্ট্যাটাস ও বিতর্ক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর সম্পর্কে কটুক্তি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন সাংবাদিক সাজেদা সুইটি। বুধবার রাতে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পরোক্ষভাবে মাদকাসক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর এ নিয়েই ফেসবুকে তার বন্ধুরা নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ তথ্য প্রযুক্তি আইন সম্পর্কেও তাকে সতর্ক করে দেন।সাজেদা সুইটি তার স্ট্যাটাসে লেখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম খা আলমগীর আরও একটি অমৃতবচন ছেড়েছেন।
তিনি বলেছেন ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে আছে’!!!
হাসবো, না কাঁদবো?!!
প্রথমে হাসি পেলেও পরে ভাবলাম, হাসার কিছু নেই, তিনি এমন কথা বলতেই পারেন, কারণ ম খা নিজেই হয়তো এখন পুরোপুরি মাদকের নিয়ন্ত্রণে আছেন - feeling বিনোদিত.’
সন্ধ্যা সাতটার সময়ে দেয়া তার এই স্ট্যাটাসটি পছন্দ করেছেন (লাইক দিয়েছেন) ২৯জন। আর কমেন্ট করেছেন, আট জন। কমেন্টগুলো এমন:
Nazim Uddin: সুইট করে হা….সু…..ন!
Roshni Korishi: Sweety 100% thike bolasis.
Mozibur Rahman: khob valo laglo
Abdur Rahman Shagor: ICT law-er aotay poiren na, nojore poira gele Constitution-er 39 no article bachaite parbe na.
Humayoun Kabir: যারা মাদকে ডুব দিয়ে থাকে তারা আর মাদক নিয়ন্ত্রন করবে কি ভাবে
Abdur Rahman Milton: ম খা নিজেই হয়তো এখন পুরোপুরি মাদকের নিয়ন্ত্রণে আছেন
Noor Mohammad: আপা আপনার স্ট্যাটাসের জন্য ধন্যবাদ
Sumanta Chakraborty: Tao Amader Shekh Hasina ai pagol’kei montritte bohal rekheche.
গত ১৯ আগস্ট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদশের খসড়ায় সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ওইদিন বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, এ আইনে শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২০০৬ সালে প্রণীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজার বিধান ছিল। আগের আইনে শাস্তির বিধান অপর্যাপ্ত ও অস্পষ্ট ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপপ্রয়োগ রুখতেই এ অধ্যাদেশ করা হচ্ছে। আগের আইনে কিছু অপরাধ নন-কগনিজেবল ছিল। কিন্তু নতুন আইনে এটি হবে কগনিজেবল অর্থাৎ ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতে পারবে। এছাড়া নতুন আইনে কিছু অপরাধ জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। আগের আইনে সব অপরাধ জামিনযোগ্য ছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
তিনি বলেন, আগের আইনে মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হতো। কিন্তু নতুন আইনে পুলিশ অপরাধ আমলে নিয়ে মামলা করতে পারবে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রচলিত মামলা করার বিধান রয়েছে। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তথ্য নষ্ট করা, অনুমতি ছাড়া ডেটা হস্তান্তর, হ্যাকিং, ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশের মতো অপরাধ এ আইনের আওতায় পড়বে।
প্রসঙ্গত, ব্লগার মশিউর রহমান বিপ্লব, সুব্রত অধিকারী শুভ, রাসেল পারভেজ ও আসিফ মহীউদ্দিন; আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে এ আইনের মামলাতেই গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। তবে তাদের মধ্যে প্রথম চারজন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য প্রকাশের পর কোন আইনগত ঝামেলায় জড়ান কি-না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সাজেদা সুইটি দৈনিক আমাদের সময় থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি বাংলা নিউজে যোগ দেন। আমাদের সময়ের আগে আলোর মুখ না দেখা দৈনিক অধিনায়কে কাজ করেছেন। পেশাগতভাবে তিনি বিএনপি সংক্রান্ত নিউজ কভার করে থাকেন।- জুম বাংলা