শনিবার ● ২০ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অবৈধ লেনদেন হচ্ছে
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অবৈধ লেনদেন হচ্ছে
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে দেশের যে ২৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং করছে, সেগুলোর মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স। তদন্তে এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে লাইসেন্স বাজেয়াপ্তসহ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।এ বিষয়ে টাস্কফোর্সের এক সদস্য বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি আমাদের দেশে নতুন, এ কারণে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকও বিষয়টি দেখছে।
দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করায় দেশের ২৩টি ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংক সেবা পরিচালনার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়। ফলে গত তিন বছরে এর গ্রাহক সংখ্যা ৫২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। লাইসেন্স দেয়ার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, এ পদ্ধতির জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে কয়েকটি ব্যাংক অবৈধ লেনদেন করছে। অসাধু কয়েকটি ব্যবসায়ী চক্রও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
কয়েকটি প্রতারক চক্র কিছু গোপন কোড ব্যবহার করে ভুয়া মেসেজ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। চক্রটি অনেক ক্ষেত্রে হ্যাক করে কিংবা মেসেজ পাঠিয়েও সাধারণ রিচার্জ ব্যবসায়ী ও এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শুধু এজেন্ট বা ব্যবসায়ীরা নন, এর ফলে গ্রাহকরাও বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনেক অভিযোগও এসেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়েও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অভিযোগ রয়েছে।
আর তাই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে গঠিত টাস্কফোর্সকে মাঠে নামাচ্ছে। টাস্কফোর্স এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে বেশ কিছু তথ্য চেয়েছে। পাশাপাশি পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলেছে। প্রতিবেদনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লাইসেন্স প্রদান, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, ঝুঁকি ও কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত শেষে টাস্কফোর্স মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন করার প্রমাণ পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সুপারিশ করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেনকারী ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে। পাশাপাশি অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।