সোমবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » বিসিএস নির্বাচন-২০১২ - ২০১৩ » নির্বাচনী আচরণবিধি
নির্বাচনী আচরণবিধি
১. নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিজ্ঞাপন প্রদান, কোন প্রকার পোষ্টার, চিকা অথবা ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না।২. মিছিল করা অথবা শ্লোগান দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ।
৩.ভোটারের নিকট কেবলমাত্র সাদাকালো এ৪ সাইজএর প্রচারপত্র প্রেরণ করা যাবে, তবে কোন রকম উপঢৌকন প্রেরণ করা যাবে না।
৪.কোন প্রার্থী একক অথবা দলবদ্ধভাবে কোন হোটেল, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনী ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠান, ভোটারদের আপ্যায়ণের আয়োজন এবং এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
৫.নির্বাচন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে গ্র”প ভিত্তিক সকল প্রার্থীর পরিচিতি সভার আয়োজন করা যাবে। প্রার্থীগণ সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভোটারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন। ব্যক্তিগত কুৎসা, অশালীন অথবা রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। প্রার্থী পরিচিতি সভার ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্বাচন বোর্ড সকল প্রার্থীর উপর সমান হারে ফি ধার্য করতে পারবে।
৬.নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৪৮ ঘন্টা পূর্ব হতে সকল প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
৭.নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত ভোট কেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে প্রার্থী অথবা তাঁর সমর্থকদের সমাবেশ, জটলা, ব্যাজ ধারণ ও পোষ্টার বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
৮.নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিত বিধান বহির্ভূতভাবে কোন প্রার্থী কিংবা ভোটার ভোট গ্রহণ এলাকার ১০০ গজের মধ্যে অহেতুক অবস্থান করতে পারবেন না।
৯.কোন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে নির্বাচনে কেবলমাত্র একজন পোলিং এজেন্ট মনোনীত করতে পারবেন।
১০.নির্বাচন বোর্ড ও নির্বাচন আপীল বোর্ডের সদস্য, নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োজিত কর্মকর্তা, প্রার্থী, ভোটার, প্রার্থীদের মনোনীত পোলিং এজেন্ট এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
১১.প্রার্থীরা মনে করলে কেবলমাত্র নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত আসনে ভোট কেন্দ্রের ভিতর অবস্থান করতে পারবেন, তবে কোনভাবেই সেখানে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোন কার্যকলাপ পরিচালনা করতে পারবেন না।
১২.নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক ভোটার কেবল এক সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।
১৩.গোপনীয় ভোটিং বুথে একবার কেবলমাত্র একজন ভোটার প্রবেশ করবেন।
১৪.কোনভাবেই কোন ব্যালট পেপার ভোট কেন্দ্রের বাইরে নেয়া যাবে না।
১৫.প্রার্থী বা তাঁর মনোনীত পোলিং এজেন্ট জালভোট বা তাঁদের দৃষ্টিতে নির্বাচনে কোন অনিয়মের ব্যাপারে নির্বাচন বোর্ডের নিকট অভিযোগ জানাতে পারবেন।
১৬.শারীরিকভাবে অসুস্থ বা অক্ষম কোন ভোটারের ভোটদানে সহায়তা করার জন্য নির্বাচন বোর্ড কোন ব্যক্তিকে নিয়োজিত করতে পারবে।
১৭.নির্বাচন শুরু হবার ১৫ মিনিট পূর্বে প্রার্থী বা/এবং তাঁদের মনোনীত পোলিং এজেন্টদের সম্মুখে (যদি কেউ উপস্থিত থাকেন) নির্বাচন বোর্ড ব্যালট বাক্স সীল করে দিবে। ।
১৮.প্রার্থী নিজে বা তাঁর মনোনীত পোলিং এজেন্টের যে কোন একজন ভোট গণনার সময় ভোট কেন্দ্রের ভিতর অবস্থান করতে পারবেন।
১৯.এখানে বর্ণিত আচরণবিধিতে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কোন কিছু অনুল্লেখিত থাকলে তা বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সংঘবিধি অনুসারে প্রতিপালিত হবে।