বৃহস্পতিবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষায় সুশিক্ষিত হতে হবে
স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষায় সুশিক্ষিত হতে হবে
তিন দিনব্যাপী ই -এশিয়া ২০১১ উদ্বোধনী আনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৷৷সাব্বিন হাসান ৷৷ ঢাকায় শুরু হলো এশিয়ার সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি আসর ই-এশিয়া ২০১১। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী পঞ্চম এ আসরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ই-গভ প্রকল্পের সভাপতি এবং সিইও অজয় সোহানি, বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ ও বাংলাদেশ আইসিটি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং জিপিআইটির সিইও পিটার ডিনডিয়াল।
এশিয়ার অন্যতম এ প্রযুক্তি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন স্বাধীনতার ৪০ বছরে পা দিয়েছে। স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল শিক্ষায় সুশিক্ষিত হতে হবে। এ জন্য জাতীর জনক সোনার বাংলাদেশ গড়তে সোনার মানুষ তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
আর এ সোনার মানুষ হচ্ছে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ। এ সময়ে আইসিটি শিক্ষাই হচ্ছে সেই সোনার মানুষ গড়ার কারিগরি মাধ্যম।
দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আইসিটিভিত্তিক তথ্যসেবা এবং জনসেবা দিতে বাংলাদেশ নিজেকে প্রস্তুত করছে। এরই মধ্যে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সেবা সাধারণ মানুষের নাগালে চলে এসেছে। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ২০২১ পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারতের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ই-গভ প্রকল্পের সভাপতি এবং সিইও অজয় সোহানি বলেন, বাংলাদেশ আইসিটি খাতে দ্রুতই উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতও তাদের সঙ্গী হতে চায়। আইসিটি খাতের উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করবে বলেও তিনি জানান।
বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ ও বাংলাদেশ আইসিটি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ এখন আউটসোর্সিং ব্যবসায় আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত। তিন বছর আগেও বাংলাদেশকে এ খাতে কোনো দেশই চিনত না। এ খাতে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো অর্থেই অসম্ভব নয়। বরং এটা হবে বাস্তব অর্জন।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান কবিতার ভাষায় বলেন, ই-এশিয়ার জয় সুনিশ্চিত। বাংলাদেশের কৃষকেরা এখন মোবাইল ফোনে কৃষিতথ্য সেবার সুফল উপভোগ করছেন। এখন আর চাইলেও আইসিটির এ জোয়ার বাধা মানবে না। স্বাধীনতার ৪০ বছরে ই-এশিয়ার এ জয়গান দিয়েই বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রার শুভ সূচনা হোক।
জিপিআইটির সিইও পিটার ডিনডিয়াল বলেন, এ সম্মেলনে এশিয়ার আইসিটি খাত আরও সমৃদ্ধ এবং গতিশীল হবে। এ জন্য সরকারের যে কোনো উদ্যোগের সঙ্গে জিপিআইটি কাজ করবে। সরকারি সহায়তা পেলে জিপিআইটি ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অন্যতম সহায়ক শক্তি হিসেবেও কাজ করতে প্রস্তুত আছে।