মঙ্গলবার ● ৯ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রুয়েটে তৈরী হল বাংলা কথা ও ইশারায় চলতে সক্ষম রোবট
রুয়েটে তৈরী হল বাংলা কথা ও ইশারায় চলতে সক্ষম রোবট
আমাদের প্রিয় মাতৃভাষার জন্য যেমন একদিন আমাদের দেশের সাহসী সন্তানেরা জীবন দিয়েছিলেন, তেমনি আজও অনেক তরুন প্রজন্মই কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলোকে বাংলায় রুপান্তরিত করার জন্য। এরকমই এক অসামান্য আবিষ্কার করল রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েটের ৩য় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ছাত্র সাদলী সালাহউদ্দিন ও সৌমিন ইসলাম । তারা আবিষ্কার করেছে সম্পূর্ন বাংলা কথা ও ইশারায় চলতে সক্ষম এমন রোবট।
বাংলাদেশে রোবট নিয়ে অনেকে কাজ হলেও বাংলা কথায় চলবে এরকম রোবট এই প্রথম। রোবটটিকে বাংলাতে যেকোন অদেশ করলে সে অনুযায়ী কাজ করতে সক্ষম। আবার যারা বাক প্রতিবন্ধি বা কথা বলতে অক্ষম তাদের জন্যও রোবটটিতে যোগ করা হয়েছে বিশেষ সংবেদনশীল ব্যবস্থা । যার মাধ্যমে রোবটটিকে ইশারা করলেই সে অনুযায়ী কাজ করতে পারবে। রোবটটি প্রদর্শনকালে বাংলা শব্দ ডানে যান, বামে যান, থামুন, এবার চলুন এসমস্ত আদেশের মাধ্যমে কিভাবে কাজ করছে এটি দেখান হয়।
প্রকল্পটি তৈরীর কাজে নিয়োজিত দলটি সাংবাদিকদের জানানঃ রোবটটিকে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে নিয়ন্ত্রন করা যাবে। ইন্টারনেটে প্রবেশ করে একটা সফটওয়ার এর মাধ্যমে প্রথমে একটি নিরাপত্তা কোডের মাধ্যমে রোবটটির সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। এরপর রোবটটি থেকে একটা নিশ্চয়তামূলক বার্তা আসলেই কাজ শেষ। রোবটটি কাজ শুরু করবে । নিয়ন্ত্রনকারী, দূরে অবস্থানকারী ব্যাক্তির কাছে রোবটটির আসে পাশের পরিবেশের জীবন্ত ভিডিও পাঠাতে থাকবে প্রতি মূহূর্তে । এবং ভিডিওগুলো দেখে নিয়ন্ত্রনকারী ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নিবে কখন কি করতে হবে। সাথে সাথে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম(জিপিএস) এর মাধ্যমে রোবটটি স্যাটেলাইটের সাথে সংযোগ করতে পারবে । ফলে মানচিত্রের মাধ্যমেও রোবটটির অবস্থানও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শিক্ষকদের উদ্যোগে এ প্রকল্পটিকে নিয়ে ৯ জুলাই একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটে উপাচার্য এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের প্রধান মো: রফিকুল ইসলাম শেখ জানান “এ প্রকল্পটিকে যদি বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা যায় তবে বাংলাদেশের বাক প্রতিবন্ধিদের জন্য একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে।”
উপাচার্য ডঃ মর্ত্তুজা আলী বলেন “এটি আসলেই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বাংলা ভাষায় কাজ করতে সক্ষম রোবট আবিষ্কার সত্যিই আমাদের গর্বের বিষয় ।”