সোমবার ● ৮ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » ব্র্যাক ও ওমেন উইন এর সহযোগিতায় নারীর ক্ষমতায়নে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ‘গোল’ প্রজেক্ট
ব্র্যাক ও ওমেন উইন এর সহযোগিতায় নারীর ক্ষমতায়নে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ‘গোল’ প্রজেক্ট
নারীর ক্ষমতায়ন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মূল মূল্যবোধের একটি অংশ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ব্যাবসা বাণিজ্য এবং ব্যাংকের গ্রাহকদের একটি বড় অংশই নারী যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নেবে।
এইসব কথা মনে রেখেই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক; ব্র্যাক ও ওমেন উইন -এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে চালু করল ‘গোল’ প্রকল্প । আজ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ওমেন অ্যাফেয়ার্স-এর মহাপরিচালক জনাব আশরাফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে ‘গোল’ এর শুভ সূচনা করেন; এসময় তার সাথে ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিম ম্যাককেইব এবং ব্র্যাকের শিক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ড শফিকুল ইসলাম। অন্যান্য অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের শিক্ষা প্রকল্পের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাশিদা পারভিন এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান বিটপী দাস চৌধুরী ।
‘গোল’ একটি চমৎকার সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প যার মাধ্যমে খেলাধুলা ও শিক্ষাকে ব্যাবহার করে কিশোরীদের বাক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করা হয়। গোলের পাঠ্যসূচীকে ৪টি ট্রেনিং মডিউলে বিভক্ত করা হয়। এগুলো হল ফিনান্সিয়াল লিটারেসি এবং লাইভলিহুড “বি মানি স্যাভি “, কমিউনিকেশনস স্কিলস “বি ইওরসেলফ”, হেলথ এন্ড হাইজিন “বি হেলদি” এবং কনফিডেন্স এন্ড লাইফ স্কিলস “বি এমপাওর্য়াড”।
বাংলাদেশের তিনটি জেলার ৮টি উপজেলার কিশোরীদের উদ্দেশ্য করে গোল প্রকল্প চালু হচ্ছে । এই জেলাগুলি হচ্ছে- সিলেট , বগুড়া ও নারায়ণগঞ্জ।
দুই বছরব্যাপী এই প্রকল্প্রের আওতায় আমরা নিুলিখিত সংখ্যক সুবিধাভোগীদের নিকট পৌছাতে চাইঃ
১. ৪১ জন ‘গোল’ সনদপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক
২. ৫০০ জন গোল চ্যাম্পিয়ন
৩. ৫০০০ কিশোরী এবং তরুণী
গোল প্রকল্পের সূচনা পর্বে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও সিইও জিম ম্যাককেইব বলেন, “স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সাস্টেইনিবিলিটি কৌশলের বেশ কিছু উপাদান মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সম্পর্কিত। ‘গোল’
হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সেই রকম একটি প্রকল্প যা এমডিজি লক্ষ্যকে সামনে রেখে গড়ে তোলা হয়েছে এর মাধ্যমে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়নকে উৎসাহিত করা হয়েছে। আমরা আশা করি, ‘গোল’ হবে এদেশের কিশোরীদের ক্ষমতায়নের ভবিষ্যৎ শুরু।”
ব্র্যাকের শিক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ড শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি গোল কিশোরীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করবে যা তাদের জীবনে প্রভাব ফেলার পাশাপাশি সমাজ পরিবর্তনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে তৈরি করবে।”
‘গোল’ প্রকল্প ২০০৬ সালে ভারত থেকে যাত্রা শুরু করে আজ নাইজেরিয়া, চীন, জাপান ও জাম্বিয়াতেও বিস্তৃতি পেয়েছে। ২০১৩ সাল নাগাদ ‘গোল’ প্রকল্প এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে এক লক্ষ কিশোরীর মাঝে ছড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ‘গোল’ ত্রিশ হাজার কিশোরীর মধ্যে পৌঁছে গেছে।