শনিবার ● ৬ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » সাভারে যাত্রীবাহী বাসে কলেজ ছাত্র খুন
সাভারে যাত্রীবাহী বাসে কলেজ ছাত্র খুন
আশুলিয়ায় কলেজে যাওয়ার পথে হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে সোহেল রানা (১৭) নামে এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকাল ৮টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ডে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
নিহত সোহেল সাভার ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পরে এ খবর তার সহপাঠীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এসময় তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ওপর হানিফ পরিবহসহ প্রায় ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সকালে নন্দন পার্কের সামনে থেকে ৭/৮জন যাত্রী নিয়ে হানিফ পরিবহনের বাসটি ছেড়ে আসলে জিরানী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে কলেজ ছাত্র সোহেল রানা ওই বাসে সাভার ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
বাসটি আশুলিয়ার চক্রবর্তী এলাকায় পৌঁছালে পিছনের সিটে যাত্রীবেসে বসে থাকা ৪/৫ জন যুবক সোহেলের বুকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার বাসটি রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কলেজ ছাত্রটিকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সোহেলের মৃত্যুর সংবাদ তার সহপাঠীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। প্রায় ঘণ্টা খানেক অবরোধ করে রাখার পর আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের সহপাঠী হত্যার বিচারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
এদিকে অবরোধ তুলে নেয়ার পর শিক্ষার্থীদের একাংশ সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিউ মার্কেটের সামনে এসে হানিফ পরিবহনসহ ৮/১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে সাভার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত সোহেল রানার বন্ধু সবুজ জানান, বৃহস্পতিবার সোহেল রানা কলেজ থেকে ফেরার সময় হানিফ পরিবহনের বাস চালক ও হেলপারের সাথে তার ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে সোহেলের কয়েকজন বন্ধু ওই বাস চালক ও হেলপারকে মারধর করে। এরই জের ধরে তারা সোহেলকে হত্যা করা হতে পারে।
এব্যাপারে সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতার জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাস্থল জয়দেপুর থানায় হওয়ায় নিহতের বাবা আনসার আলী বাদী হয়ে সেখানে মামলা করেছেন।
নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কের হানিফ পরিবহনের লাইন সুপারভাইজার দুলাল আহম্মেদ জানান, গত বৃহস্পতিবার ইসমাইল নামের এক হেলপারের সাথে ভাড়া নিয়ে সোহেল রানার ঝগড়া হয়। এ ঘটনার পর থেকেই সে কলেজ ছাত্রের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ছিল।
দুলাল জানান, সকাল থেকেই হেলপার ইসমাইল হানিফ পরিবহনের গাড়িতে ডিউটি করেনি। ঘটনার পর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।