শনিবার ● ৬ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » আলোচিত সংবাদ » গোল্ডেন লাইফের মাহফুজুল বারী এমডি থেকে মালিক !! পাঠার-বলি হচ্ছে গোল্ডেন লাইফ !!! মালিকদের দ্বন্ধে লাভবান মাহফুজুল বারীরা !!!!
গোল্ডেন লাইফের মাহফুজুল বারী এমডি থেকে মালিক !! পাঠার-বলি হচ্ছে গোল্ডেন লাইফ !!! মালিকদের দ্বন্ধে লাভবান মাহফুজুল বারীরা !!!!
পর্ব-১০
অবশেষে ধরা খেলো গোল্ডেন লাইফের প্রতারক এমডি মাহফুজুল বারীর প্রতারনা। dailyictnews দীর্ঘ ১ মাস ধারাবাহিক ভাবে মাহফুজুল বারীর প্রতারনা এবং জালিয়াতির চিত্র প্রকাশ করছে। dailyictnews এর চোখে ধরা পড়েছে- কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও কতিপয় মালিকরা মাহফুজুল বারীর জালিয়াতি ঢাকার জন্য চেষ্ঠা চালাচ্ছে তাতে পরিচালকদেরও সংশ্লিষ্ঠতার প্রমান মেলে। ৫ জুলাই’২০১৩ IDRA কর্তৃক ১১টি বীমা কোম্পানীর অনুমোদন তালিকা প্রকাশিত হলে মাহফুজুল বারীর প্রতারনার মুখোশ-চিত্র উন্মোচিত হয়েছে, আইন লংঘনের দায়ে IDRA-LAW অনুযায়ি দোষী হয়েছে সে, কংলকিত করেছে বীমা জগত। আমাদের বিশ্বাস অর্থ আত্মসাৎ এবং সাড়ে ৮ লাখ গ্রাহকের সাথে প্রতারনার জন্য মাহফুজুল বারী এবং জড়িত পরিচালকরা অচিরেই আইনের হাতে ধরা পড়বে।
পরিচালকদের চোখে ধুলা দিয়ে অথবা আজিজুর রহমান ও মুনসেফ আলীর নির্দেশেই গোল্ডেন লাইফকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সম্ভাবনাময় কোম্পানীটিকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে মাহফুজুল বারী। আইডিআরএ’র বিধান অনুযায়ি নতুন কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার যোগ্যতায় আছে, ‘বর্তমানে কোন কোম্পানীতে নিয়োজিত কর্মকর্তা নতুন কোম্পানীর জন্য আবেদন করতে পারবেনা।’ মাহফুজুল বারী স্পষ্ট এই আইন লংঘন করে গোল্ডেন লাইফের এমডি ও সিইও থাকা অবস্থায় NRB GLOBAL LIFE INSURANCE কোম্পানীর পরিচালক হয়েছেন। জানা গেছে, একক স্বাক্ষরের ক্ষমতা পেয়ে মাহফুজুল বারী গোল্ডেন লাইফের কতিপয় পরিচালককে যেমন কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন আবার নিজেও কোটি কোটি টাকা সরিয়েছেন। কর্মী ও গ্রাহকরা বলেন, এই টাকা দিয়েই মাহফুজুল বারী নতুন কোম্পানীর ডিরেক্টরসিপ নিয়েছে। মালিকদের দ্বন্ধ এবং কতিপয়ের অসাধুতার কারনে মাহফুজুল বারী সুযোগ পেয়েছে। আজিজুর রহমান ও মুনসেফ আলীর লোপাটকৃত কোটি কোটি টাকা ফেরৎ চেয়ে মুসা মিয়া হাই কোর্টে রিট করেছেন এবং হাই কোর্ট স্পেশাল অডিট-ফার্ম দিয়ে অডিট করার নির্দেশ দিয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে তাদের টাকা আত্মসাতের প্রমান পেয়েছে। মালিকরা চোর প্রমানিত হলে- কোটি কোটি টাকা ফেরৎ দিতে হবে তা হাজার কোটি টাকার মালিক আজিজুর রহমান ও মুনসেফ আলীর জন্য মৃত্যু-সমান হবে মর্মে তারা প্রানপণ মরিয়া হয়ে কোম্পানীটি বন্ধ করার হীন চেষ্ঠায় লিপ্ত হয়েছেন অ-নে-ক আগে থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফ্লোর অফিস ইনচার্জ জানান, “মাহফুজুল বারী স্যারের সাথে নতুন কোম্পানীতে সেকেন্ড সাড়ির অনেক উন্নয়ন কর্মকর্তারা যাবে এবং স্যার পরিকল্পিতভাবে গোল্ডেনকে ধ্বংস করলো। যাদের বরখাস্ত করেছে তাদের অনেকের সাথে বারী স্যারেরগোপন মিটিং হয়, বরখাস্তকৃত অনেকেই তার সাথে আতত করেছে-নতুন কোম্পানীতে যাওয়ার জন্য। আমাদের কি হবে জানিনা। পিডি স্যারেরা ১০০% মাহফুজুল বারী স্যার যে কোম্পানীর মালিক এবং এমডি সেখানে যাবেন। তারা অনেক ডেভিট থাকার পরও দ্রুত ক্লিয়ারেন্স পাবেন।”
গোল্ডেন লাইফের এই জালিয়াতির বিষয়টি ভূক্তভোগী কর্মকর্তা কর্মচারী এবং আতংকিত গ্রাহকরা ২/৩ বছর ধরে সরকারের এবং সংস্লিষ্ঠ দপ্তরে জানিয়েছে কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি। জানা যায়, তারা আইডিআরের কাছে ৬/৭ বার আবেদন করেছে। সর্বশেষ বিগত ২/৩ মাস যাবৎ দেশের নামিদামি অনলাইনসহ প্রায় ৫০টি পত্রিকায় বিষয়গুলো প্রচার হচ্ছে তারপরও গোল্ডেন চেয়ারম্যান সামসুর রহমান এবং আইডিআরের চেয়ানম্যান এম. শেফাক আহমেদ এই মাহফুজুল বারীকে বাঁচানোর জন্য আরও মরিয়া হয়েছেন। অবশেষে ধরা খেলেন যে বাঁচাবে তার জালেই। চট্টগ্রামের এএমডি সাথে এক কর্মীর কথোপকথোনের কিছু অংশ হলো- “শুয়োরের বাচ্চা এমডিকে অনেক টাকা দিয়েছি, ইউটিসিতে অফিসের অগ্রিম আমি দিয়েছি, তারপরও খানকির বাচ্চায় আমার গ্রাহকের চেক আশুনুরূপ দেয়না। আর এখন দেখি সে আমাদের মেরে অন্য কোম্পানীর মালিক হচ্ছে। ও আমাকে যত আশ্বাস দিয়েছে তা না রাখলে আমি সব বলে দিব, আমার মায়ের দুধের কসম, আগুনের কসম।”
জানা যায়, গোল্ডেন লাইফের মালিকদের মধ্যে দ্বন্ধের কারনে বিগত সিএফও নুরুল আমিন, আমিনুর রহমান, মনির হোসেন, উজ্জল কুমার সহ প্রজেক্টের বিভিন্ন হিসাব কর্মকর্তারাও কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বিগত এমডিরা হয়েছেন টাকার কুমির। মালিকরা থেকেছে মালিকই। সর্বশান্ত হয়েছে গ্রাহকরা। কর্মীরা হয়েছে প্রতারিত ও বিতারিত। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত হলে সকল সত্যতা পাওয়া যাবে মর্মে এক পরিচালকের মন্তব্য।