শনিবার ● ৬ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » নির্বাচনে ভোট কারচুপি হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে: মির্জা ফখরুল
নির্বাচনে ভোট কারচুপি হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে: মির্জা ফখরুল
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট কারচুপি হলে ‘দাঁতভাঙ্গা’ জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এই নির্বাচনে ভোট কারচুপি হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। সেখান থেকেই সরকারকে চলে যেতে আন্দোলনের সূচনা হবে।”
শুক্রবার সকালে রাজধানীতে এক যুব সমাবেশে তিনি বলেন, সরকার গাজীপুরে ‘ভোট কারচুপির নীল নকশা’ করছে।
বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে পিটুনির ঘটনার ‘দ্বিতীয় বার্ষিকীতে’ দোষীদের বিচারের দাবিতে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই যুব সমাবেশ হয়। ২০১১ সালের ৫ জুলাই হরতাল চলাকালে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিরোধী দলের সাংসদরা মিছিল করলে পুলিশের লাঠিপেঠায় আহত হন জয়নুল আবদিন ফারুক।
শনিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত এম এ মান্নান ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আজমত উল্লা খানসহ মোট ছয় প্রার্থী মেয়র পদে লড়ছেন।
অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করতে গাজীপুরে ভোট গ্রহণের দিন সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। গাজীপুরে সেনা মোতায়েনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, ক্ষমতাসীন দল ঢাকা থেকে সন্ত্রাসীদের গাজীপুরে নিয়ে জড়ো করেছে। বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ছড়ানো হয়েছে।”
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে একাট্টা হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, “সেজন্যই আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সেনা বাহিনী মোতায়েনের আবারো দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে বলব, এখনো সময় আছে সেনাবাহিনী মোতায়েনে ব্যবস্থা নিন। নইলে যে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি হবে, এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তাবে।”
এদিকে চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হেরে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জনগণ থেকে সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সিটি নির্বাচনের ফলাফলে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। বুধবার কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা ভোট লুট করেছে। এ থেকে প্রমাণ হয়, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।”
লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু দেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। এই সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকারে পরিণত হয়েছে।”
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, আবেদ রাজা ও নাগরিক সংসদের সভানেত্রী খালেদা ইয়াসমীন সমাবেশে বক্তব্য দেন।