বুধবার ● ৩ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যবসায়ীদের
রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যবসায়ীদের
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকার, ব্যবসায়িক সংগঠন, উৎপাদনকারী কোম্পানি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের এক মতবিনিময় সভায় এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে এফবিসিসিআই ভবনে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর আমদানি, মজুদ সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্ব সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব আহমেদ। সভায় এফবিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, মেঘনা গ্রুপের পরিচালক তানভীর মোস্তফা, নির্বাহী পরিচালক আসিফ ইকবাল, এস আলম গ্রুপের জি এম সালাউদ্দিন আহমদ, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও আমদানিকারক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা রমজানে তেল, চাল, ডাল, আটা, ময়দা, খেজুর, কাঁচা বাজারের কোনোটিরই দাম বাড়াব না। বরং কিছু পণ্যের দাম কমতে পারে। তবে ডিসিসির ম্যাজিস্ট্রেটদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সরকারি সব ধরনের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বাজার সমিতির সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকার এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বারবার সভা করেছে। আমাদের সব পরিসংখ্যান তথ্য দেখা গেছে, বর্তমানে মজুদ পরিমাণ ঠিক আছে। সাপ্লাই লাইন ঠিক আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকট নেই। কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না বরং কিছু পণ্যের দাম কমতে পারে।
তিনি বলেন, বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ ও রাস্তায় মালামাল পরিবহনে সরকারের সব মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও পুলিশ সক্রিয় থাকবে। আমরা প্রতিদিন বাজার মনিটর করবো।
চিনি ও ভোজ্যতেল নিয়ে আমরা সচিবালয়ে বৈঠক করেছি। ব্যবসায়ীরা যে মূল্য ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কেউ কোনো অসৎ উপায়ে যেন সুযোগ নিতে না পারে সেটা ব্যবসায়ীদেরকেই দেখতে হবে।
মাহবুব আহমেদ বলেন, টিসিবির মাধ্যমে কিছু পণ্য আনা হচ্ছে। ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই। টিসিবি এবার অনেক পণ্য নিয়ে ট্রাকসেল (ট্রাকে করে বিক্রি) করবে। এবার প্রথমবারের মতো জেলা শহরেও ট্রাকসেল দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক বাজারেও পণ্যমূল্য কমে গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে ১৪টি মনিটরিং টিম করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা মনিটরিং টিম তৈরি করেছেন। ফলে দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই।
বাণিজ্য সচিব খুচরা ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা সব পণ্য স্লিপে কিনবেন। পণ্যমূল্য টাঙাতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, রমজান মাসে আল্লাহর রহমতের জন্য ব্যবসা করেন। সৎ ব্যবসায়ীর সওয়াব অনেক বেশি। ভোগ্যপণ্য এলসির ব্যপারে কোনো ব্যাংকে সমস্যা হলে আমি ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরো বলেন, রমজান মাসে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। আমরা পুলিশের আইজিপির সঙ্গে কথা বলেছি। ভোগপণ্য নিয়ে আসতে যেন কোনো চাঁদাবাজি না হয় সে ব্যাপারে আমরা কাজ করবো।
এফবিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, রমজানে পণ্যদ্রব্য নিয়ে একটি মনিটরিং সেন্টার করা হবে।