মঙ্গলবার ● ১ নভেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » টুজি লাইসেন্স নবায়নের ফি জমা দিয়েছে চারটি মোবাইল ফোন অপরেটর
টুজি লাইসেন্স নবায়নের ফি জমা দিয়েছে চারটি মোবাইল ফোন অপরেটর
দ্বিতীয় প্রজন্মের (টুজি) লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য দেশের চারটি মোবাইল ফোন অপরেটর গতকাল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)কাছে তাদের নির্ধারিত ফি জমা দিয়েছেন। তবে গ্রামীনফোন লাইসেন্স নবায়ন ফি’য়ের সাথে স্পেকট্রাম চার্জের নির্ধারিত অংশও জমা দিয়েছেন। বিটিআরসি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত স্পেকট্রাম ফি গ্রহণ করবে।
গতকাল গ্রামীন ফোন, রবি, বাংলালিংক ও সিটিসেল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়নের ফি জমা দেয়। এসব অপারেটরে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সাড়ে ৮ কোটি টাকার চেক জমা দেন বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান মো: গিয়াউদ্দিন আহমেদের কাছে। বিটিআরসি’র নির্দেশনা ও অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন করার চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী ভ্যাটসহ এ টাকা জমা দেয়ার কথা থাকলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চিঠির প্রেক্ষিতে ভ্যাট ছাড়া টাকা জমা দিয়েছেন অপারেটররা। তবে এখনো ভ্যাটের দাবি থেকে সরে আসেনি বিটিআরসি।
কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান গত সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, এখন টাকা জমা নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যাচাই করে আরো টাকা পাওনা থাকলে তা নেয়া হবে। এবং সেটি তারা দেবেন এমন শর্তে চেক গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভ্যাট কেটে টাকা জমা দেয়ার কথা নীতিমালায় উল্লেখ নেই। তবে এনবিআরের একটি চিঠির প্রেক্ষিতে তারা এ টাকা জমা দেননি বলে জানিয়েছেন।
দিনের শুরুতে বৃহৎ অপারেটর গ্রামীন টাকার চেক জমা দিতে গেলে সেখানে ভ্যাট ছাড়া টাকা না নেয়ার কথা তোলেন বিটিআরসি কর্মকর্তারা। পরে অবশ্য তাদের ও অন্যদের কাছ থেকে ভ্যাটের টাকা ছাড়াই চেক জমা নেয়া হয়েছে।
গ্রামীনফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজী মনিরুল কবির জানিয়েছেন, লাইসেন্স নবায়নকারী মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে গ্রামীণফোনই প্রথম বিটিআরসির কাছে নবায়ন ফি এবং স্পেকট্রাম অ্যালোকেশন ফি এর প্রথম কিস্তি (৪৯%) বাবদ ১৩ শ ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামীণফোন মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর বা এমসিএফ ও ভ্যাট বিষয়ক হাইকোর্টের আদেশের আলোকে ফি জমা দিয়েছে।
রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (সিআরএল) মহিউদ্দিন বাবর জানিয়েছেন তারা লাইসেন্স নবায়ন ফি বাবদ সাড়ে ৮ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি টাকা বিটিআরসি ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে দেয়া হবে।
একইভাবে বাংলালিংক ও সিটিসেল তাদের লাইসেন্স নবায়নের টাকা জমা দিয়েছে। বাকি টাকা ৬ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেয়ার কথা জানিয়েছে।
নবায়ন ফি জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে আগামী ১০ নভেম্বর শেষ হতে যাওয়া দেশের এ চারটি মোবাইলফোন অপারেটর তাদের লাইসেন্স আগামী ১৫ বছরের জন্য নবায়ন করার কাজ চূড়ান্ত করেছে। এখন বিটিআরসির কাছে বাকি পাওনা এবং এনবিআরের কবাছে ভ্যাটের টাকা শোধ করেই নভেম্বর মাসের ১০ তারিখের মধ্যে তাদের রাইসেন্স পাওয়ার কথা রয়েছে।