শুক্রবার ● ২১ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » আলোচিত সংবাদ » এবার পাত্রী দেখতে গিয়ে জাঙ্গিয়া পরে ফিরল হবু বর
এবার পাত্রী দেখতে গিয়ে জাঙ্গিয়া পরে ফিরল হবু বর
বিয়ে করে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখেছিলেন নির্মল চাঁদ। কিন্তু তার বদলে সর্বস্ব খুইয়ে প্রতারিত হতে হল দিল্লির নজফগড়ের এই বাসিন্দাকে।মনের মতো উপযুক্ত পাত্রী পেতে নামী খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন ৩৯ বছরের নির্মল চাঁদ। যোগাযোগ হওয়ার পরে পাত্রীর অভিভাবকদের সঙ্গে ফোনে কথা হল বেশ কয়েকদিন।
এরপর ‘মেয়ে দেখার’ জন্য নির্মলের কাছে আমন্ত্রণ এল। সেইমতো পাত্রীর ‘দাদার’ সঙ্গে তাঁর কথা হল ১ জুন। স্থির হল ৬ জুন নির্মল যাবেন দিল্লির শাস্ত্রী নগর মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে পাত্রীর বাড়িতে।
নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় গেলেন নির্মল চাঁদ। মোটরবাইকে চেপে। দেখা হল দুই যুবকের সঙ্গে। তারা নাকি পাত্রীর বাড়ির লোক। জানাল,মেয়ের মা নিজেই নির্মলের কাছে ওইখানে আসবেন। তাই তাদের আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
রাস্তায় অপেক্ষা করতে হলেও খাতির এবং সৌজন্যের কোনও কমতি ছিল না। নির্মলকে ঠান্ডা পানীয় দেন দুজনে। কিছু না ভেবেই তাতে চুমুক দেন হবু পাত্র। তারপর সব অন্ধকার…
হুঁশ ফিরল পরের দিন। নির্মল আবিষ্কার করলেন তিনি পড়ে আছেন অন্য জায়গায়। পরনে শুধু অন্তর্বাস। উধাও তাঁর মোবাইল,ওয়ালেট এবং বাইক।
বিধ্বস্ত অবস্থায় ফিরে এলেন বাড়ি। মানসিক শক্তি জুটিয়ে কদিন পরে দ্বারস্থ হলেন পুলিশের।
পুলিশ জানাচ্ছে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় আগেও বিয়ে করতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। গত আগস্টে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩০ বছর বয়সী এক মহিলাকে। অভিযোগ, সে রাজস্থানে গিয়ে অনেক ছেলেকে বিয়ে করে তারপর গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে তার সঙ্গে জড়িত আরও পাঁচ জনকে।
দিল্লির বাসিন্দা অন্নু কুমারী নামে ওই তরুণীর নামে রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার বুহানায় FIR করেছিলেন জনৈক ওমপ্রকাশ। তিনি নিজেও ছিলেন অন্নু কুমারীর একজন শিকার।
পুলিশ তদন্ত করে দেখছে সেরকম কোনও চক্র নতুন করে সক্রিয় হয়েছে কি না।