বুধবার ● ১৯ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » আলোচিত সংবাদ » কম্পিউটারে মন আপলোড করে অমরত্ব পাবে মানুষ !!!
কম্পিউটারে মন আপলোড করে অমরত্ব পাবে মানুষ !!!
কম্পিউটারে মন আপলোড করে অমরত্ব পাবে মানুষ। এমনটিই বিশ্বাস ভবিষ্যত্বাদীদের। লাইভ সায়েন্স-এ প্রকাশিত এক সংবাদে এ তথ্য জানা গেছে।
মস্তিষ্কভিত্তিক কম্পিউটার তৈরিতেও অনেকখানি এগিয়ে গেছেন প্রযুক্তিবিদরা। একে তারা বলছেন ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই)। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ককলিয়ার ইমপ্লান্টকে বিশেষ ইলেকট্রোডের সহায়তায় জুড়ে দেয়া হয় কম্পিউটারের সঙ্গে। কয়েক দিন আগে এ ধরনের একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে জন্ম বধির এক ব্যক্তি প্রথমবারের মতো শব্দ শুনতে পান। অনেক বিজ্ঞানী দল আবার বিসিআইকে মেরুদণ্ড শুকিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারে ব্যবহার করছেন।
এ মতবাদে বিশ্বাসী একদল ক্ষ্যাপাটে (!) বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ সম্প্রতি একত্র হয়েছিলেন গ্লোবাল ফিউচার ২০৪৫ ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেসে। সম্মেলনের উদ্যোক্তা রুশ বিলিয়নেয়ার দিমিত্রি ইতসকভ। পুরোদস্তুর বিজ্ঞান আর কল্পবিজ্ঞান জগতের মাঝামাঝি তার বিচরণ। সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন নন্দিত বিজ্ঞানী রে কার্জওয়েল, পিটার ডায়াম্যান্ডিস ও মারভিন মিনস্কি। সম্মেলনে আরো হাজির ছিলেন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতারা।
ইতসকভ আর তার দল বলছে, খুব বেশি দিন নেই যখন কম্পিউটার মানুষের দেহের সব দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করবে। উল্টোটাও একইভাবে সম্ভব। মানুষের মস্তিষ্কের বহুমুখী ক্ষমতাকে কম্পিউটারের নির্ভুলতার সঙ্গে যোগ করলে তা যে মানুষের চেয়ে অধিক শক্তিশালী হবে; তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কে না চায় আজীবন বাঁচতে? মানব দেহ খুব জোর ১০০-১৫০ বছর আপনাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে। কিন্তু আপনার মস্তিষ্ক যদি কম্পিউটারের সাহায্যে বেঁচে থাকে, সেটি কি নতুন জীবন নয়? সেই মস্তিষ্কনির্ভর কম্পিউটারকে কে মারবে?
ইতসকভ ও অন্য ট্রান্সহিউম্যানিস্টরা সিঙ্গুলারিটিকে ধরছেন ডিজিটাল অমরত্ব হিসেবে। তাদের মতে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্কের কার্যধারা ও মনের অলিগলি এখনই কম্পিউটারে অল্প পরিমাণে হলেও ধরা সম্ভব হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে প্রযুক্তি দিয়েই মানুষের সব চিন্তাধারার প্রক্রিয়াকে আবেগের সংমিশ্রণসহ হয়তো কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে আপলোড করা সম্ভব হবে। তাতে জৈব দেহের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে মানুষের।
এ মুহূর্তে ইতসকভ বাহিনীর এ ধারণাকে কল্পবিজ্ঞান মনে হতে পারে। তবে স্নায়ুবিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য উন্নতির কল্যাণে মস্তিষ্কের কার্যক্রম রেকর্ড করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্কের আংশিক পুনর্গঠনেও সফল হয়েছেন তারা।
কার্জওয়েলের অন্যতম পরিচয় তিনি গুগলের প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক। তার মতে, ২০৪৫ সালের মধ্যেই ক্ষমতায় মানুষের মস্তিষ্ককে ছাড়িয়ে যাবে প্রযুক্তি। সৃষ্টি হবে নতুন ধরনের অতি বুদ্ধিমত্তার, যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন সিঙ্গুলারিটি। অন্য বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২১০০ সালের মধ্যেই মানুষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করবে রোবট।
মুরের নীতি অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর অন্তর কম্পিউটিং ক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। এদিকে বেশকিছু প্রযুক্তির কল্পনাতীত উন্নতি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জেনেটিক সিকোয়েন্সিং ও ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ।
কার্জওয়েল বলেন, অতি রক্ষণশীল হিসাব অনুযায়ী মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে ১০০ কোটি গুণ বাড়ানো সম্ভব।