বৃহস্পতিবার ● ১৩ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » অনলাইন হয়রানি কমাতে দরকার সচেতনতা ও আইনের সঠিক প্রয়োগ
অনলাইন হয়রানি কমাতে দরকার সচেতনতা ও আইনের সঠিক প্রয়োগ
তথ্যপ্রযুক্তির আইন রয়েছে তবে সেটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। দেখা যাচ্ছে এ বিষয়ে অনেকেই পূর্ণাঙ্গ ভাবে জানে না। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরী। স্মার্টফোন কিংবা ইন্টারনেটে বিচরণের আগে সবাইকে সচেতন থাকাটা জরুরী। বিশেষ করে যখন একজন নারী এ কাজটি করছেন।
গত ১৩ জুন বুধবার ঢাকার বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) কার্যালয়ে আয়োজিত ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও আইসিটি: অনলাইনে নিপীড়ন, প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। মাসিক তথ্যপ্রযুক্তি ম্যাগাজিন সি নিউজ, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন), বাইটস ফর অল এবং বিসিএসের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ওমেন ইন আইটির (বিডব্লিউআইটি) সভানেত্রী লুনা শামছুদ্দোহা বলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে আনাটা জরুরী যাতে করে সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়া এডভোকেসিটা নারীদের জন্য জরুরী। পাশাপাশি সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকেদের সচেতনতাটাও খুব প্রয়োজন।’
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুরাইয়া পারভীন, বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, আপলোড ইউরসেলফ সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী ফারহানা এ রহমান, উইন ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী কাশফিয়া আহমেদ, একসেস টু ইনফরমেশনের কন্টেন্ট সমন্বয়ক সুপর্ণা রায়, বাংলালায়নের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জি এম ফারুক খান, ইন্টারনেট নিরাপত্তা গবেষক জাবেদ মোর্শেদ চৌধুরী, ডিক্যাস্টালিয়ার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাবিলা ইনুন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক আনা ফারিহা, সি নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক রাশেদ কামাল, নির্বাহী সম্পাদক কাজী মোস্তাক গাউসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
গোলটেবিল মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাইটস ফর অলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও কানাডা সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা পার্থ সরকার। গোলটেবিল সঞ্চালনা করেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
বক্তারা বলেন, অনলাইনে নারীদের ক্ষেত্রে যে সমস্যা রয়েছে সেটি নতুন নয়, তবে এটি নিয়ে কাজ হচ্ছে না। ফেসবুকে অনেকেই ইচ্ছাকৃত ভাবে নারীদের হয়রানির করার চেষ্টায় থাকে। ফলে শুধু আইন নয় সামাজিক ও ব্যক্তিগত সচেতনতা এসব হয়রানি থেকে রক্ষা করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শাস্তিও এক্ষেত্রে বেশ সহায়তা করতে পারে। তাছাড়া আমাদের শক্ত আইন থাকলেও এ বিষয়ে যারা সমস্যগুলো চিহ্নিত করবেন সেখানে দক্ষ লোকের অভাব রয়েছে। ফরেনসিক ল্যাব ও একটি নির্দিষ্ট পোর্টাল করা যেতে পারে। ডিজিটাল অপরাধগুলোকে সবার সমন্বিত চেষ্টায় বন্ধ করা যেতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোন জায়গায় অভিযোগ করতে হবে সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া জরুরী।
দেখা যায় অভিযোগ করার জায়গা থাকলেও সেখানে কোন অভিযোগ নেওয়ার ভালো কোন ব্যবস্থা নেই। আবার অভিযোগ নিলেও সেটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না। যারা অভিযোগ নিয়ে কাজ করবেন তারাও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না। এ বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়া উচিত বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।