বুধবার ● ১২ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » বিটিআরসির সামনে লাগাতার গণঅবস্থান শিথিল॥আসছে নতুন কর্মসূচি
বিটিআরসির সামনে লাগাতার গণঅবস্থান শিথিল॥আসছে নতুন কর্মসূচি
গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগাবাইট ১০ পয়সা এবং প্রতি গিগাবাইট ১০ টাকা হারে এবং সর্বনিন্ম গতি ৫১২ কিলোবাইট অবিলম্বে নির্ধারণ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ ১২ জুন ২০১৩ খৃস্টাব্দ বুধবার বিকেল ৩টায় বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে লাগাতার গণঅবস্থাণ শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সিস্টিম অ্যান্ড সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মাওলা ভুইয়া বিকেল ৪টায় গণঅবস্থান মঞ্চে এসে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার নির্ধারণ প্রসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। এর পর তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরীর নেতৃত্বে টেলিকম সাবস্ক্রাইবার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শার্দুল আহমেদ সেনা, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইসিটি অব বাংলাদেশ- ইয়াহু গ্রুপের মডারেটর এম.এ. কবির, জাগো যুবকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, দি সফট কিং আইটির সিইও রেক্স রিফাত, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মেহেদী হাসান তাফসীর, মহসীন মিয়া, বিপ্লব মাহাব ও সুলতান মন্ডল সজল, নাট্য পরিচালক নাহিদ শাহরিয়ার রাজ, অভিনেতা ও মডেল গজেন্দ্র গমন বিটিআরসি কার্যালয়ে গোলাম মাওলা ভুইয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।
গোলাম মাওলা ভুইয়া আন্দোলনকারীদের জানান, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার নির্ধরণে আইএসপিদের ইন্টারনেট সার্ভিসের ‘কস্ট মডিউল’ প্রয়োজন। আন্দোলন শুরু হওয়ায় বিটিআরসির পক্ষ থেকে আইএসপিগুলোকে কস্ট মডিউল জমা দেয়ার জন্য ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে। কস্ট মডিউল পেলেই বিটিআরসি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার নির্ধরণ করে দিবেন বলে জানান।
এ প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিথিল করে।
তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বিটিআরসির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিথিল করা হয়েছে। তবে আগামী ১৪ জুন শুক্রবার সহযোগী আন্দোলনকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।