মঙ্গলবার ● ১১ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » শান্তিপূর্ণ সরকার পরিবর্তন চায় বিএনপি
শান্তিপূর্ণ সরকার পরিবর্তন চায় বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সরকার পরিবর্তন চায় বিএনপি। এ জন্য বিএনপি এখনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে।তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, সরকার যদি মনে করে তারা বিএনপিকে চার দেয়ালের বাইরে রাজনীতি করতে দেবে না, তাহলে ভুল করবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যত্’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মঈন খান এসব কথা বলেন। ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকেরা ওই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
মঈন খান বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো বাঁকা পথে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায় না। বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। পরিবর্তিত বিশ্বের ধারা অনুযায়ী বিএনপি তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের একাধিকবার গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৪২ বছরের রাজনীতিতে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত এসেছে। কিন্তু এখনকার মতো পরিস্থিতি কখনো হয়নি। আওয়ামী লীগ যে পথে হাঁটছে, তা গণতন্ত্রের পথ নয়।
সভা-সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের সংবিধান আমাদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। আমাদের ঘরের মধ্যে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। আমাদের দেশে এখন রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়- এটাই হল দেশের প্রধান রাজনৈতিক সংকট। তারা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বললেও এটা ভুল হবে। কারণ, তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল মাত্র।”
মঈন খান চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, দেশের রাজনীতিতে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা উত্তরণে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, রাজনীতিতে এখন যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনো দলীয় নয়, জাতীয় সংকট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের প্যানেল সাদা দলের আহ্বায়ক সদরুল আমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্লাহ, শিক্ষক তাজমেরী এস এ ইসলাম, ওবায়দুল ইসলাম, মামুন আহমদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আজহার আলী প্রমুখ ।