রবিবার ● ৯ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মঙ্গলবার ইন্টারনেটের দাম কমানোর দাবিতে মাবনন্ধন
মঙ্গলবার ইন্টারনেটের দাম কমানোর দাবিতে মাবনন্ধন
রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগাবাইট ১০ পয়সা এবং প্রতি গিগাবাইট ১০ টাকা হারে এবং সর্বনিন্ম গতি ৫১২ কিলোবাইট অবিলম্বে নির্ধারণ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন আগামী ১১ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বনানীস্থ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে।
মানববন্ধনে বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। মানববন্ধনের সমন্বয় করছেন সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বায়েজিদ ইবনে হক ও সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাঈম আহমেদ শিশির।তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরী মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গতঃ তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন সাংবাদিক সম্মেলন করে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপযুক্ত মূল্যহার নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ১২ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দেয়।এ সময়ের মধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগাবাইট ১০ পয়সা এবং প্রতি গিগাবাইট ১০ টাকা হারে এবং সর্বনিম্ন গতি নির্ধারণ করে দেয় না হলে আগামী ১২ জুন বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বটিআরসি কার্যালয়ে লাগাতার গণঅবস্থানের প্রস্তুতি নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন।
এদিকে গণঅবস্থান সফল করার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের গণসংযোগ চলছে। তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কর্মীরা লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তির সঙ্গে দাবি প্রসঙ্গে কথা বলে জনমত সংগ্রহ করছেন।
ইতিমধ্যে ঢাকা ইউনিভার্সিটি আইটি সোসাইটি, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ টেলিকম সাবস্ক্রাইবার্স ফোরাম, আইসিটি অব বাংলাদেশ - ইয়াহু গ্রুপ, দি সফট কিং, জাগো যুবক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, গণসংহতি আন্দেলন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, নাগরিক ছাত্র ঐক্য এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, ফ্রিল্যান্সার, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টগণ তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।