শুক্রবার ● ৭ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শেষ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি উৎসব
শেষ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি উৎসব
‘নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা’ এই স্লোগানকে ধারন করে শুক্রবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ডিইউআইটিএস-রবি জাতীয় প্রযুক্তি উৎসব। আজ সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের আসর।
উৎসবের সমাপনী দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ‘আইসিটি টু প্রিভেন্ট ভায়োলেন্স এগেইনিস্ট উইম্যান’ শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারটি সঞ্চালন করেন আইসিটি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ ওপেন র্সোস টেনওয়ার্কের (বিডিওএসএন) এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান ও বিডব্লিউআইটি সভানেত্রী লুনা শামসুদ্দোহা ও বিডিওএসএনের সহকারী সম্পাদক জাবেদ মোর্শেদ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে লুনা শামসুদ্দোহা বলেন, নারীদের ঘরে বসে থাকলে চলবে না। তাদেরকে কাজের জন্য ঘরের বাইরে আসতে হবে। দেশের উন্নয়নের নারী পুরুষের সমান ভুমিকা রাখতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের সবার সমান সুযোগ আছে। নারীরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারা বিশ্বের অনেক ভালো কাজ করছে।
সেমিনারের সঞ্চালক আইসিটি বিশেষজ্ঞ মুনির হাসান বলেন, নারীরা আমাদের সমাজেরই অংশ। নারীদের ছাড়া কোন সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। আর দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নারীদের ভুমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তি কারো একার সম্পত্তি নয়। প্রযুক্তি সুবিধা ব্যবহার করার সবার সমান সুযোগ রয়েছে।নানা আয়োজনে দুই দিনের প্রযুক্তি উৎসবে মূল পর্বে ছিলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রকল্প প্রদর্শন, অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, গেমিং ও কুইজ প্রতিযোগিতা, ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালা, আউটসোর্সিং ও উদ্যোক্তা সম্মেলন, তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বিতর্ক ও বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন। এছাড়াও উৎসবে মিট দ্যা পার্সোনালিটি ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের বিভিন্ন পর্বে অতিথি হয়ে আসেন গুগলের বাংলাদেশ প্রতিনিধি কাজী মনিরুল কবীর, এভারেষ্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী মুসা ইব্রাহীম, নাট্য অভিনেতা জাহিদ হাসান, পরিচালক মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ও অভিনেত্রী তিশা, বিকাশের সিইও কামাল কাদির, আইসিটি বিশেষজ্ঞ মুনির হাসান, লুনা শামসুদ্দোহা, ই-ল্যান্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাইদুর মামুন খান, ফ্রিলান্সার ডট কমের নাবিলা খোরশেদসহ অনেকে।
আয়োজনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকল্প প্রদর্শণে ২৫ টি দল, মোবাইল অ্যাপস প্রতিযোগিতায় ১২ টি দল, গেমিং প্রতিযোগিতায় ৩ শতাধিক, বিতর্কে ৮৯ জন, কুইজে ২৩০ জন, আইডিয়া প্রতিযোগিতায় ১০টি দলসহ প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান বাড়ানোর লক্ষ্যে গত বছর থেকে শুরু হয় ক্যাম্পাস ভিত্তিক এই আইটি মেলা।