শুক্রবার ● ৭ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » “ইকমার্স ও ইন্টারনেটের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার না করায় হতাশা”
“ইকমার্স ও ইন্টারনেটের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার না করায় হতাশা”
ইন্টারনেট ও ইকমার্সের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। এবারের বাজেটে নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেসিস সভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর এ কথা বলেন।
বাজেটে ইন্টার ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার করার প্রস্তাব মেনে না নেয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম মাশরুর এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “ইকমার্স ও ইন্টারনেটের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার না করায় হতাশা বাড়লো।
জাতীয় তথ্য প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯-এ ৭০০ কোটি টাকার জাতীয় আইসিটি উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব থাকলেও বাজেট বক্তৃতায় সে ব্যাপারেও কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসেনি। তাই আমরা হতাশ।
তিনি বলেন, “ইন্টারনেটকে কাঁচামাল ভাবা না হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নয়ন করা দূরুহ হবে।”তবে দেশের ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযোগ বৃদ্ধিতে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ওপর থেকে শুল্ক হ্রাস করার ঘোষণায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান বেসিস নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া নবগঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বিগত বছরের তুলনায় তিন গুণেরও অধিক বৃদ্ধি করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।প্রসঙ্গত, বিগত বছরে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল মাত্র ১৩৭ কোটি টাকা, যা এ বছর বাড়িয়ে ৫৩০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেসিস সভাপতি বলেন, “নবগঠিত আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রায় তিন গুণ করা হয়েছে। তবে ৫৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও এর ব্যয় বিন্যাস করা হয়নি।”অবশ্য ১২ থেকে ৫ শতাংশ ফাইবার অপটিক কানেকটিভিটি বাড়াতে সহায়তা করার কারণে দেশে ইন্টারনেট কানেকটিভিটি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাজেটে ওয়েবক্যাম, ডিজিটাল ক্যাম ইত্যাদির দাম কমানো-কে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়িত করেছেন।
তবে সংবাদ সম্মেলনে ভ্যাট অটমাইজেশন করা হলেও সরকারের বিভিন্ন স্তরে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রোড প্লান করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।কর কাঠামো অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে বেসিস সভাপতি আরো উল্লেখ করেন, বাজেট বক্তৃতায় ই-গভর্নেন্স আইসিটি স্কিল ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেইসাথে আইসিটি খাতের উন্নয়নে আগামী অর্থ বছরে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে, এ অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে তার কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি।এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি শামীম আহসান, সহ-সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির ও পরিচালক শাহ ইমরাউল কায়ীশ।
বক্তারা অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে যেসব প্রস্তাব দাখিল করেছিল তা পুনর্বিবেবচনার দাবি জানানো হয়েছে।