বুধবার ● ২৯ মে ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » দাম্পত্য জীবনে পুরুষের চেয়ে নারীর অভিযোগ বেশি
দাম্পত্য জীবনে পুরুষের চেয়ে নারীর অভিযোগ বেশি
দাম্পত্য জীবনে পুরুষদের চেয়ে নারীরা অভিযোগ করেন বেশি। সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, অধিকাংশ সময় নারীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের পুরুষ সঙ্গীরা অন্য কারও প্রেমে পড়েছেন।
‘
ডেইলি মেইল’-এর এক প্রতিবেদনে গতকাল সোমবার বলা হয়েছে, গবেষকদের মতে, অসুখী দম্পতিরা বেশির ভাগ সময় এটা ভেবে পার করেন যে তাঁরা কত বেশি রাগী ও হতাশ। অথচ সুখী দম্পতিরা বেশির ভাগ সময় তাঁদের চিন্তার সমন্বয় করতে ব্যয় করেন। দেখা গেছে, একটি সুখী দম্পতির একজন বেশি আবেগী হয়ে পড়লে, আরেকজন সেটিকে সামাল দেন।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক দলের প্রধান ড. অনিতা ভ্যানজেলিসটি বলেন, ‘সুখী দম্পতিদের একজন যখন অসন্তুষ্ট থাকেন বা রাগ করেন, তখন অপরজন ভাবেন তাঁর সঙ্গী কী চান বা কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়।’
ড. অনিতা বলেন, গবেষণা থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন একটি সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে ব্যক্তি কী করেন এবং সম্পর্ক বিষয়ে তাঁদের সন্তুষ্টি কী মাত্রায় থাকে। ব্যক্তির সুখ তাঁর সঙ্গীকে কতটুকু প্রভাবিত করে, তাও এ গবেষণা থেকে জানা গেছে।
ড. অনিতা ও তাঁর গবেষক দল ৭১টি তরুণ অবিবাহিত দম্পতির ওপরে গবেষণা চালিয়েছে। তাঁরা কমপক্ষে তিন বছর ধরে একসঙ্গে জীবন যাপন করছেন। গবেষণার সময় নারী ও পুরুষটিকে পৃথক কক্ষে বসিয়ে সাক্ষাত্কার নেওয়া হয়। এ সময় প্রত্যেকের সঙ্গে একজন করে গবেষকও থাকতেন। তবে দম্পতিরা ইন্টারনেট বা ফোনে কোনো একটি বিষয়ে নিজেদের মতবিরোধ নিয়ে আলোচনা করতেন। গবেষক তাঁদের আলোচনা শুনে সিদ্ধান্ত নিতেন।
দেখা গেছে, অধিকাংশ সময় দম্পতিরা অর্থ, অতীতের প্রেমের সম্পর্ক, মদপান বা আত্মীয়-সজ্জনদের নিয়ে তর্ক করেন।
অসুখী দম্পতির মধ্যে যাঁরা অন্যের মতামত শুনতে চান না, তাঁরা সাধারণত বারবার আলোচনার বিষয় ঠিক বদলাতে পছন্দ করেন। আলোচনার সময় তাঁরা ভাবেন, তাঁদের দুজনের মধ্যে কার ক্ষমতা কত বেশি।
ড. অনিতা বলেন, নারী ও পুরুষের চিন্তাগত পার্থক্যের যে প্রচলিত মত, এ গবেষণার ফল থেকে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কারণ, গবেষণার সময় অধিকাংশ সময় নারী ও পুরুষেরা একই ধরনের চিন্তা করেছেন।
গবেষণাপত্রটি অল্প কয়েক দিনের মধ্যে অনলাইন সাময়িকী ‘কমিউনিকেশন মনোগ্রাফে’ প্রকাশিত হবে।