রবিবার ● ২৬ মে ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ডিআইইউ’তে ‘কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রত্যাশিত সিলেবাস’ শীর্ষক সেমিনার
ডিআইইউ’তে ‘কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রত্যাশিত সিলেবাস’ শীর্ষক সেমিনার
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ও আইসিটি এডুকেশন ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় “জাতীয় উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রত্যাশিত সিলেবাস” শীর্ষক এক সেমিনার গত ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ( ডিসিসিআই) এর সভাপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাষ্ট্রিজ এর চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ও আইসিটি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শাফকাত হায়দার। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালক (স্টুডেন্ট এফেয়ার্স) সৈয়দ মিজানুর রহমান এর সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা বাদ দিয়ে আইসিটি বাস্তবায়ন বা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তাই তারা ‘কম্পিউটার শিক্ষার’ পূর্ণবহাল চান। তারা বলেন, ২০১৩ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তি ( ১০০ নম্বরের) বাধ্যতামূলক করা হযেছে যা সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, কিন্তু এর বিষয় বস্তু বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়। বিশেষ করে মাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা বাধতামূলক না করে কম্পিউটার পরিচিতি বা প্রাথমিক পরিচালনার জ্ঞান ব্যতিত কোন শিক্ষার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সরাসরি ওয়েব পেজ ডিজাইন, এইচটিএমএল বা সি প্রোগ্রামিং পড়ানোর বিষয়টিরও কঠোর সমালোচনা করেন তারা। বর্তমান পাঠ্যসূচীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পরিচিতি, ইনফরমেশন সিষ্টেম, ইন্টারনেট, ই-কমার্স, ই-পেমেন্ট, ই-মার্কেটিং, আউটসোর্সিং, সরকারের ই-সার্ভিস পরিচিতি, তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপত্তা ও নিরাপদ ব্যবহারের মত প্রাথমিক বিষয়সমূহ অর্ন্তভূত করার পরামর্শ দেন বক্তারা। মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের নম্বর সিস্টেম, ডিজিটাল লজিক ও সি প্রোগ্রামিং শেখার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও বক্তরা প্রশ্ন তোলেন।
সেমিনারে সরকারি কলেজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কম্পিউটার শিক্ষা/বিজ্ঞানের শিক্ষকের পদ সৃষ্টি এবং সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগদানের পাশাপাশি ইতিপূর্বে যে সকল শিক্ষক কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন তারা যেন তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি পাঠদান করতে পারেন তা নিশ্চিত করে সরকারি অফিস আদেশ জারি করার সুপারিশ করা হয়। সেমিনারে সারাদেশ থেকে বিভিন্ন কলেজের ১৫০ জন কম্পিউটার শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।