শনিবার ● ৪ মে ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী ই-বাণিজ্য মেলা
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী ই-বাণিজ্য মেলা
ঢাকা ও সিলেটে সফলভাবে ই-বাণিজ্য মেলা সম্পন্ন হওয়ার পর এবার দেশের বাইরে ই-বাণিজ্য মেলার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী জুলাইয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও মাসিক কমপিউটার জগৎ যুক্তরাজ্যে এ মেলার আয়োজন করবে। গত ২ মে মেলার আয়োজন সম্পর্কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানান আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খান।
আইসিটি সচিব আরো জানান, ই-বাণিজ্যে বাংলাদেশের যাত্রা অনেক আগে হলেও অগ্রগতি খুবই কম। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই সেক্টরের অগ্রগতি খুবই ধীরগতির। এর মূল কারণ হলো ই-বাণিজ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। আর এই সচেতনতা সৃষ্টি করতেই ই-বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ০.৫ শতাংশ বাংলাদেশি। প্রতিনিয়ত তারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য কিনে নিয়ে যান এবং প্রিয়জনকে উপহার সামগ্রী পাঠান। তাদেরকে ই-বাণিজ্যে সম্পৃক্ত করতে পারলে এই সেক্টরটি প্রসারিত হবে। যুক্তরাজ্যের এই মেলার পাশাপাশি প্রায় একই সময়ে চট্রগ্রামে ই-বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশের পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোতে ই-বাণিজ্য মেলা সম্পন্নের পর জেলা শহরগুলোতে ই-বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় ই-বাণিজ্যকে সম্পৃক্ত করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সহকারি সচিব মাহবুব হাসান শাহীন, যুগ্ম সচিব গাজী মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব কামালউদ্দিন আহমেদ, বিসিএস এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মইনুল ইসলাম, কমপিউটর জগৎ এর কারিগরি সম্পাদক ও কমজগৎ টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াহেদ তমাল, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক এস এম আশফাক হুসেন, ডিসিসিআই প্রতিনিধি সৈয়দ আলমাস কবির, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিনিধি সুকান্ত চক্রবর্তী প্রমুখ।
কমজগৎ টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এর আগে আমরা যে মেলাগুলো আয়োজন করেছি সেটার মূল লক্ষ্য ছিল ই-বাণিজ্য সাইটগুলোকে প্রমোট করা। তবে পরবর্তী মেলাগুলোতে যাতে নতুন উদ্যোক্তা আসতে পারে সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং, ট্যুরিজম, ফুড ও বেভারেজ, হস্তশিল্প, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, ইলেক্ট্রনিক্স, বিউটি পার্লারসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ই-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ জানিয়েছে। তাই লন্ডনে অনুষ্ঠিত এ মেলায় এ ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
সভায় জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে ই-বাণিজ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। তবে সেখানকার প্রবাসী বাঙ্গালীরা কিভাবে সেখানেই বসে প্রিয়জনদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিজ থেকে শুরু করে উপহার সামগ্রী পাঠাতে পারে সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। বাংলাদেশে পেমেন্ট গেটওয়ে চালু হওয়ায় এই সেক্টটিকে অনেক দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে। সেই লক্ষ্যেই বিদেশে ই-বাণিজ্য মেলাকে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাই-কমিশনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ব্রিটিশ হাই-কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে মেলা আয়োজনের স্থান ও দিন-তারিখ নির্ধারণ করা যাবে।
সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়, অর্থ মন্ত্রনালয়, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, কমপিউটার জগৎ, বেসিস, বিসিসি, বিসিএস, ঢাকা চেম্বার অব কমার্সসহ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘আন্তর্জাতিক ই-কমার্স মেলা আয়োজক কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খুব শীগ্রই এ সম্পর্কিত আরেকটি সভায় এ কমিটি গঠন করা হবে।