শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » জাতীয় উদ্যোক্তা সম্মেলন ৩০ মে
জাতীয় উদ্যোক্তা সম্মেলন ৩০ মে
বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সকল ধরনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে আগামী ৩০-৩১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল এন্টারপ্রেনার সামিট-২০১৩ (জাতীয় উদ্যোক্তা সম্মেলন)। সামাজিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান- টিম ইঞ্জিন লিমিটেড এই আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এই সম্মলনে সহযোগিতা করছে। এ সম্মেলনের স্লোগান হলো - রাইজ ফর জিডিপি গ্রোথ ।আয়োজকদের পক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও জিডিপির মাত্রা সূচক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের বেসরকারী উদ্যোগের বিকল্প নেই। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও নানামুখী উদ্যোগকে বিকশিত করতেই জাতীয় উদ্যোক্তা সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। প্রথমবারের মত আয়োজিত এ সম্মেলনে সফল উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়, উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায়, পুঁজি সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, নেটওয়ার্কিং, ব্যবসা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন ইত্যাদি বিষয়ে সেমিনার, মতবিনিময়ের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের নতুন পণ্য বা সেবা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া থাকবে “এন্টারপ্রেনার্স ক্লিনিক” নামে একটি বিশেষ আয়োজন যেখানে উদ্যোক্তারা তাদের কাঙ্খিত বিশেষজ্ঞ (আইন, তথ্যপ্রযুক্তি, বিপনন, পুঁজি সংগ্রহ ইত্যাদি) প্যানেলের সঙ্গে মুখোমুখি পরামর্শ সেবা পাবেন।
দুদিনব্যাপি জাতীয় এ আয়োজনে সারাদেশ থেকে উদ্যোক্তারা তাদের উদ্যোগ ও প্রকল্প নিয়ে হাজির হবেন। নতুন ও তরুন উদ্যোক্তা এবং উদ্যোগকে পৃষ্টপোষকতা ও উৎসাহ দিতে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা, গবেষক, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন সেমিনার ও ওয়ার্কশপে বক্তব্য রাখবেন। আয়োজকরা বলছেন মূলত, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত এবং সম্ভবনাময় নানা ধরনের উদ্যোগ ও প্রকল্পকে দিকনির্দেশনা এবং জাতীয় অর্থনীতিতে সফল অবদান রাখার জন্য উপযোগি করতেই এই আয়োজন।
এই সম্মেলকে নিয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল এ মুহিত বলেন, নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি এবং দক্ষ শ্রমবাজার নির্মানে উদ্যোক্তা নিভর্ অর্থনীতির জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে খুঁজে আনতেই জাতীয় উদ্যোক্তা সম্মেলন। এটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বাজার ও অর্থনীতিকে উদ্যোক্তাবান্ধব করে তুলতে তরুন ও প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তাদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলবে ।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান টিম ইঞ্জিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জুবেরী হিমিকা বলেন, যেকোন দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে যেকোন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা গেলে জাতীয় অর্থনৈতিক সূচকেরও অগ্রগতি হবে, দেশীয় পন্য এবং সেবার মান বাড়বে। বিশ্বের অনেক দেশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ম্যাক্রো অর্থনীতি যখন মন্দার কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ছে, তখন উদ্যোক্তা নির্ভর অর্থনীতির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা দেশ-বিদেশের প্রতিষ্ঠিত উদ্যোগগুলোকে উপস্থাপন, বাংলাদেশের বিশাল যুবজনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হতে অনুপ্রানিত করার পাশাপাশি এবং দেশের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সহায়তা ও সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা করবো।
সম্মেলন আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান জানালেন, বেশ কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশে গড়ে সাড়ে ৬% অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এবং মাথাপিছু আয়ও নিয়মিতভাবে বাড়ছে। ২০১২ সালে মাথাপিছু আয় ৬৩০ থেকে বেড়ে ৮৫০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। ৫ কোটিরও বেশি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত পর্যায়ে উঠে এসেছে। দারিদ্র্য ১০% হ্রাস পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য এ সময়ের মধ্যে প্রতিবছরই সাড়ে ৭ থেকে ৮ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। সে কারণে সকল উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ চূড়ান্ত বিচারে আয়ই হল উন্নয়ন।
জাতীয় এই উদ্যোক্তা সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী উদ্যোক্তাদের জন্য দুটি জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের সুযোগ রয়েছে। “নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শীর্ষক প্রতিযোগিতায় নতুন ও তরুন উদ্যোক্তারা তাদের পরিকল্পনা ও প্রকল্প ধারনাকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন। এছাড়াও “ব্যবসায় উন্নয়ন” প্রতিযোগিতাতে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তরা অংশগ্রহন করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানা যাবে: www.riseforgdp.com
ফেসবুক পেইজঃ http://www.facebook.com/riseforgdp