শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » ১ সেকেন্ডেরও কমে চার্জ হবে ব্যাটারি !!!
১ সেকেন্ডেরও কমে চার্জ হবে ব্যাটারি !!!
১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে চার্জ হয়ে যাবে মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাবলেটের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি, আর গাড়ির ব্যাটারিও চার্জ হয়ে যাবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে। এটা গল্প নয় একেবারেই বাস্তব। এমনই তথ্য জানালেন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
গবেষকদের দাবী, তারা এমন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যে প্রযুক্তিতে ব্যাটারি চার্জ দিতে অনেক কম সময় লাগবে। তাদের তৈরি ব্যাটারিটি আকারে অন্যগুলোর তুলনায় খুবই ছোট। কিন্তু এর শক্তি সঞ্চয়ক্ষমতা এবং রিচার্জ হওয়ার ক্ষমতা প্রচলিত ব্যাটারিগুলোর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। তাদের মতে, এটিকে একটু বড় আকারে তৈরি করলেই ইলেকট্রিক কার, রেডিও স্টেশনের মতো বিপুল শক্তি ব্যয়কারী অবকাঠামোগুলোর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
মাত্র কয়েক মিলিমিটার লম্বা হওয়ায় এ ব্যাটারির ওপর নির্ভর করে স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটগুলোকে আরো পাতলা ও হালকা করাও সম্ভব হবে। গবেষণা দলের প্রধান উইলিয়াম পি কিং জানান, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল ছোট আকারের ব্যাটারি তৈরি করা। তবে সেটা করতে গিয়ে আরো কিছু প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হন তারা।
কিং জানান, প্রচলিত ব্যাটারিগুলোর শক্তি সঞ্চয় ও ছাড়ার পদ্ধতি মূলত দুই রকমের। প্রথম পদ্ধতিতে বিদ্যুৎকোষগুলো খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ নিঃসরণ করে, জমা রাখে খুবই কম। অন্যগুলোর শক্তি নিঃসরণের হার খুবই ধীর, কিন্তু এগুলো চার্জ করতেও দীর্ঘ সময় লাগে। অবশ্য স্মার্টফোনগুলোয় দ্বিতীয় ধরনের ব্যাটারিই ব্যবহার করা হয়।
কিংয়ের দলের উদ্ভাবিত ব্যাটারিটি একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় চার্জ ধরে রাখতে যেমন সক্ষম, তেমনি এর চার্জিং টাইমও খুবই কম। এতে ব্যবহার করা হয়েছে দ্রুত চার্জ করতে সক্ষম বিশেষ ক্যাথোড (ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্ত)। এটির নকশা করেছেন অধ্যাপক পল ব্রায়ান। কিংয়ের দল তৈরি করেছেন সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যানোড (ব্যাটারির নেগেটিভ প্রান্ত)। এরপর এ দুটিকে সমন্বয় করেই ব্যাটারির কাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে।
কিং জানান, তাদের এ ব্যাটারি অন্যগুলোর তুলনায় ৩০ গুণ বেশি সময় ধরে রেডিও তরঙ্গ প্রচার অব্যাহত রাখতে সক্ষম। যদিও প্রচলিত ব্যাটারিগুলোর তুলনায় এর আকৃতি ৩০ গুণ কম। প্রচলিত প্রযুক্তির ব্যাটারিগুলোর তুলনায় এটি এক হাজার গুণ বেশি দ্রুত চার্জ নিতে সক্ষম। কিংয়ের মতে, আকৃতি নিতান্ত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে নতুন ব্যাটারিটির উত্পাদন খরচও অনেক কমে আসবে। সেই সঙ্গে বহনযোগ্য যন্ত্রগুলোর ওজনও কমে আসবে অবিশ্বাস্য হারে।