রবিবার ● ২৪ মার্চ ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » ভিওআইপি অনুমোদনে ৫০ কোটি টাকা !!
ভিওআইপি অনুমোদনে ৫০ কোটি টাকা !!
।। আইসিটি শিল্প ও বাণিজ্য ।। ভিএসপি লাইসেন্স দিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা পেয়েছে বিটিআরসি। ভিওআইপি সেবা দিতে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো ফি বাবদ এই টাকা জমা দিয়েছে । এর মধ্যে লাইসেন্স ফি হিসেবে ৪৩ কোটি ২৫ লাখ এবং ভ্যাট বাবদ সাড়ে ৬ কোটি টাকা জমা পড়েছে। লাইসেন্সিং নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ফি হিসাবে ৫ লাখ এবং এর সঙ্গে আরো ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়েছে।আগামীকাল সোমবার এই লাইসেন্স বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয় থেকে বেলা ১১টার সময় হস্তান্তর করা হবে। তবে, ভিওআইপি সেবা দিতে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা লাইসেন্স ফি জমা দিয়েছে, শুধু সেসব প্রতিষ্ঠানই এসব লাইসেন্স পাবে।
বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বত্বাধিকারী বা তাদের পক্ষে মনোনীত প্রতিনিধি লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন। লাইসেন্স সংগ্রহ করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি ও ভিজিটিং কার্ড জমা দিতে হবে। আর প্রতিনিধির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনপত্র দাখিল করতে হবে।
বিটিআরসির সূত্র মতে, বর্তমানে প্রতিদিন দেশে বৈধপথে আসা আন্তর্জাতিক কলের সংখ্যা গড়ে ৪ কোটি মিনিট। প্রতিটি আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের মাধ্যমে ৩ দশমিক ৪৫ সেন্ট করে দেশে আসছে। মোট ২৮টি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান করছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসা কল গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দেবে ভিএসপি লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রসঙ্গত, ভিওআইপি সেবা দিতে মোট ১ হাজার ৪টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে ৮৬৫ প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ফি জমা দিয়েছে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সূত্রে জানা গেছে। লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দেবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভিএসপি (ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার) নামে লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত করা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে বিটিআরসি। এসব প্রতিষ্ঠানকে ৩০ দিনের মাধ্যে লাইসেন্স ফি জমা দিতে নির্দেশ দেয় কমিশন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এ সময় শেষে প্রায় ৭০০ প্রতিষ্ঠান ফি জমা দিয়েছিল। প্রথম দফায় সময় না বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হলেও পরে এ অবস্থান থেকে সরে আসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নির্ধারিত সময়ে সব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ফি জমা দিতে না পারায় তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানো হয়।
ভিএসপি নীতিমালা অনুযায়ী, বার্ষিক লাইসেন্স নবায়নে বার্ষিক ফি ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা। লাইসেন্স দেয়া হবে পাঁচ বছরের জন্য। এর পর প্রতি দুই বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে। প্রতিষ্ঠানগুলো পারফরম্যান্স ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে জমা দেবে।
গত বছরের ২২ জুলাই ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য আবেদন আহ্বান করে বিটিআরসি। গত ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এ আবেদন গ্রহণ করা হয়। লাইসেন্স নিতে মোট ১ হাজার ৫০৯টি আবেদন জমা পড়ে। বিটিআরসির দেয়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা এবং যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৪টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে লাইসেন্সের জন্য মনোনীত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।