শুক্রবার ● ২২ মার্চ ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » আজীবন সম্মাননা পেলেন ভূঁইয়া ইনাম লেনিন
আজীবন সম্মাননা পেলেন ভূঁইয়া ইনাম লেনিন
।। আইসিটি সংবাদ ।। দেশের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগণ্য সাংবাদিক ভূঁইয়া ইনাম লেনিন এ বছর আইসিটি সাংবাদিকতায় আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। গত শুক্রবার ২২ মার্চ ঢাকার বিসিএস কমপিউটার সিটিতে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাঁকে এ সম্মাননা তুলে দেন কমপিউটার সিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ হাসান জুয়েল। ভূঁইয়া ইনাম লেনিন সর্বপ্রথম আইডিবি ভবনকে বিসিএসের বার্ষিক কমপিউটার মেলা ও মার্কেট হিসেবে চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ নেয়ায় এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সচেতনতা সৃষ্টি এবং সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ায় তাঁকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনি ছাড়াও আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন ডিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সবুর খান ও বিবিএসের প্রাক্তন মহাসচিব মুনীম হোসেন রানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান স্বপন।
ভূঁইয়া ইনাম লেনিন দেশের সর্বস্তরে আইসিটি ব্যবহারে সচেতনতা ও প্রসারে গত ২৮ বছর তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিভিন্ন মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৭৩-৭৪ সালে ‘ দৈনিক ইত্তেফাক’, ‘দৈনিক বাংলা’ ও ‘দৈনিক বাংলার বাণী’তে লেখালেখির মাধ্যমে তাঁর লেখালেখির শুরু হয়। তাঁর জš§ ১৯৬২ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার আজিমপুরে। পিতা-মরহুম মোহাম্মদ ইয়াছিন ভূঁইয়ার চাকরির সুবাদে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যের সময় কাটে বঙ্গভবনে। ৭ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। তাঁর একমাত্র সন্তান যুহরাত মাহফুজা ইনাম মেধা এবার ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় বিশেষ কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে।
ভূঁইয়া ইনাম লেনিন ১৯৭৮ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েই মাসিক ‘বিজ্ঞান সাময়িকী’তে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি বিটিভির সমকাল ও গোলটেবিল অনুষ্ঠান দুটির সমন্বয়কারী ছিলেন। সে সময় তিনি বেক্সিমকো কমপিউটার্সের এমডি এসডি শহীদের শহীদলিপি নিয়ে বিটিভিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। যা ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ায় দেশের প্রথম তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক রিপোর্টিং হিসেবে বিবেচিত। এরপর তিনি পাক্ষিক ‘অনন্যা’ ও কমপিউটার জগৎ পত্রিকার প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ১৯৯৬ সালে নিজ পত্রিকা কমপিউটার বিচিত্রা প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ কমপিউটার সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯৮-৯৯ সালে তিনি এটিএন বাংলায় কমপিউটার প্রযুক্তি নামে একটি প্রযুক্তিবিষয়ক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। যা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রথম তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক অনুষ্ঠান।
তিনি জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি ‘ই ওয়েস্ট’এ সদস্য ছিলেন। তিনি মাইক্রোসফট বাংলাদেশের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি একাধিক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। তিনি বিসিএস কমপিউটার সিটি এবং এলিফ্যান্ট রোড কমপিউটার সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে কয়েকবার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর উদ্যোগে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ওপর কমপিউটার বিচিত্রার ৬৯টি বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তির মেলা ‘ইনফোকম’-এ কমপিউটার বিচিত্রা পর পর ৫ বছর মিডিয়া পার্টনার ছিল। কমপিউটার বিচিত্রা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), করপোরেট বাজার, ইনগ্রাম মাইক্রো ইন্টারন্যাশনাল শোকেস, সিটিআইটি কমপিউটার মেলা, মাল্টিপ্ল্যান কমপিউটার মেলা এবং মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপের মিডিয়া পার্টনার ছিল।
দেশে তথ্যপ্রযুক্তির সচেতনতা সৃষ্টি ও বিস্তারের অবদান রাখায় কমপিউটার বিচিত্রা ইতোপূর্বে দুইবার বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং রফিকুল ইসলাম ব্যাংকিং অ্যাওয়ার্ড ২০০৪ এ সেরা আইসিটি ম্যাগাজিনের সম্মাননা পায়।
পেশাগত কারণে তিনি বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।