বুধবার ● ১৩ মার্চ ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » হ্যাকারদের কবলে মিশেল ওবামা
হ্যাকারদের কবলে মিশেল ওবামা
৷৷ আইসিটি বিশ্ব ৷৷ হ্যাকারদের কবলে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা । রয়টার্স এর সুত্র মতে, www.exposed.su নামের এই ওয়েবসাইটিতে মিশেল সহ যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর, টেলিফোন নম্বর, ঠিকানা ও ক্রেডিট-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করা হয়েছে।বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, এফবিআইর পরিচালক রবার্ট মুলার, অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন, লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশপ্রধান ক্ল্যারি বিক, অভিনেতা অ্যাস্টন কুচার, আর্নল্ড শোয়ার্জেনিগার ও ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওয়েবসাইটির হোম পেইজে রহস্যময় এক নারীর ছবি সাঁটা রয়েছে, তাঁর চোখে গাঢ় সাজ ও এক আঙুল ঠোঁটে রাখা। ওয়েবসাইটটিতে গতকাল পর্যন্ত অনায়াসে প্রবেশ করা যাচ্ছিল, তবে কিছু লিংক খুলছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্ তিনটি ক্রেডিট তদারকি প্রতিষ্ঠানের একটি ইকুইফ্যাক্স। তারা এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গ্রাহকের ক্রেডিট প্রতিবেদন থাকে-এমন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। এই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের তথ্য annualcreditreport.com ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। এই ওয়েবসাইটটি অপর দুই ক্রেডিড তদারকি প্রতিষ্ঠান ট্রান্সইউনিয়ন কর্প ও এক্সপেরিয়ান পিএলসির সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করে থাকে।
মিশেল ওবামার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্র জর্জ অলিভি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত চলা অবস্থায় এ ব্যাপারে আমরা আর কোনো মন্তব্য করতে পারি না।’
বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র জানান, এফবিআই এ ঘটনা তদন্ত করছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সারা ফাডেন বলেন, তাঁরাও বিষয়টি তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তদন্ত করার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মামলা করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি মামলা করেছেন কি না, তা জানা যায়নি। মুখপাত্র সারা জানান, তাঁদের পুলিশপ্রধানের ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে প্রকাশিত তথ্যগুলো নিয়ে সন্দেহ রয়েছে । রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়- ঘটনাটি কতটা সত্য বা কারা এগুলো এখানে প্রকাশ করেছে, তা এখনো অস্পষ্ট রয়েছে। তাছাড়া প্রকাশিত টেলিফোন নম্বরের বেশির ভাগই সঠিক নয় বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।