সোমবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » অনলাইন ভালোবাসা » ভালবাসার মাইল ফলক (০.২৮ মাইল থেকে ৩৫০ মাইল)
ভালবাসার মাইল ফলক (০.২৮ মাইল থেকে ৩৫০ মাইল)
মনরোম পৃথিবীকে বিধাতা সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ভালবেসে মানুষের জন্য। আর মানুষের ভাল থাকার জন্য মানুষের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। মানুষ যত কঠোরই হোক না কেন। মানুষ যে কোন মূহুর্তে ভাল লাগাকে প্রশ্রয় দিয়ে ভালবাসতে বাধ্য। তেমনি, পৃথিবীর উপরে বিধাতার পাঠানো একটি মানুষ দ্বীপ, বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। লেখাপড়া শেষ করতে হচ্ছে অনেক কষ্ট করে। ছোট থেকে এত বছর পার করার পর…দ্বীপকে একটি মেয়ের ভাল লাগে।
মেয়েটি তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সেও উচ্চ শিক্ষার জন্য শহরে থাকে, বাবা-মা তাকে আদর করে ডাকে তরী। তরী মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, দ্বীপকে মূহুর্তের মধ্যেই প্রচন্ড ভালবেসেছে। অথচ দ্বীপ অনেক বার বুঝাতে চেষ্টা করেছে তাদের দুজনের ভালবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কেননা যার চিন্তা থাকে পেটের ভাত জোগানোর সেকি কখনও কাউকে ভালবেসে নিজেকে রোমান্টিকতায় জড়াতে পারে।হয়তো পারবে অনেকেই কিন্তু দ্বীপের দ্বারা সম্ভব নয়। সে বুঝে বাস্তবতা, সে বাস্তবতাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে । দ্বীপের বাস্তবতার জ্ঞাণ থেকেও সে এক সময় তরীকে ভালবেসে হৃদয়ের গহীনে স্থান দেয়।
দ্বীপ প্রতিটি মূহুর্তেই বাস্তবতার মোকাবেলা করতে গিয়ে ভুলে যায় তরীকে। কিন্তু হৃদয় থেকে মুছতে পারেনা । তরী ভালবাসে তাই দ্বীপের সাথে সারাক্ষণ থাকতে চায়, কথা বলতে চায়। কিন্তু দ্বীপ সেটা পুরন করতে পারে না তাই তরী অভিমান করে । তরীর অভিমান ভাঙ্গাতে দ্বীপ বার বার ব্যর্থ হয়। তরী অভিমান করে কখনই থাকতে পারে না। তরী বুঝতে পারে দ্বীপের অবস্থান, বুঝতে পরে না তার ভালবাসা। এ রকমই চলতে থাকে দ্বীপ, তরীর ভালবাসা।
দ্বীপের লেখাপড়া শেষ তাই জীবিকার সন্ধানে পরিচিত শহর ছেড়ে চলে যেতে হয়। তরীকে ছেড়ে যেতে চাইছে না মন।তবুও যেতে হবে। তরীর মন খারাপ , যাকে সর্বস্ব দিয়ে ভালবেসেছে,যাকে মূহুর্তের মধ্যেই চোখের সামনে পেয়েছে তাকে অনেক দুরে রাখতে হবে। তরী, দ্বীপ কে বলে দেয় আমি তোমায় ছাড়া থাকতে পারবো না অনেক কষ্ট পাবো।দ্বীপ কোন কথা বলে না , চুপ থেকে বুঝতে দেয় না তরীকে তার হৃদয়ের কষ্টগুলো । দ্বীপ চলে যায় তরীর পাঁচ’শ গজের মধ্য থেকে তিন’শ পঞ্চাশ মাইল দূরে।
অচেনা শহরে দ্বীপ একাকী পথ চলে , অনেক চতুরতার মাঝেও যাবার ২য় দিনে তার মোবাইল টা হারিয়ে ফেলে বন্ধ হয়ে যায় মূহুর্তে মূহুর্তে বাবা-মা, হৃদয়ের মানুষ তরীর খোজ নেওয়া। তার পরও বিভিন্ন ফোন থেকে বাবা-মা ও তরীর খোজ নেয়। তরীর কষ্ট আরও বেশি হয় । এক মাস পর……………….
ব্যস্ত থাকায় অনেক দিন কারো কোন খোজ নেওয়া হয় না। একটি কাজ পেয়েছে বাবা-মাকে জানানোর জন্য ফোন করল। মায়ের কান্না ভরা কণ্ঠ শুনে হৃদয় কেঁদে উঠল,তবুও মা খুশি হয়েছে।
তরীর নাম্বারে ফোন করে অনেক বার কিন্তু দ্বীপ সবগুলো নাম্বার বন্ধ পায়। চিন্তিত দ্বীপের বুকে ঝড় বইছে। হঠাৎ ডাইরীতে পেল তরীর বান্ধবীর একটি নাম্বার সেটা ও বন্ধ পেল। আবার যখন বাহিরে বের হল তখন ফোন দিতেই রিসিভ করল ওর বান্ধবী কথা হল বলল অনেক দিন যোগাযোগ নেই। দ্বীপের অনুরোধে অনেক কষ্টে তরীদের বাসার নাম্বার জোগার করে দিল। ঐ নাম্বারে ফোন দিল কেউ ধরল না।আবার ফোন দিতেই তীরর মা ধরল। সালাম দিয়ে তরীর কথা জিজ্ঞাসা করতেই মনটা ভার করে কেঁদে ফেললো।বলল, ওর বাবা মতের বিরুদ্ধে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাবার সম্মানের জন্য বিয়েতে রাজি ও হয়েছিল কিন্তু বিয়ের আগের রাতে আর খুজে পাওয়া যায়নি। কয়েক দিন পরে……………………!!!
লিখেছেন- রাশেদুল ইসলাম রাসেল
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা